সাহিত্য

আত্মদর্শন এবং অন্যান্য

আত্মদর্শন

অনেক কিছু জানো তুমি,পড়েছো সহস্র গ্রন্থ—কিন্তু নিজেকেই কি কখনোপড়েছো একান্ত?

তোমার ভেতর যে ‘তুমি’ বাস করে,তাকে খুঁজেছো কোথায়?বহির্জগতে খুঁজতে খুঁজতে,অন্তরের পথ হারায়।

হেঁটেছো মসজিদের পথে,খুলেছো মন্দিরের দ্বারআত্মার নিঃশব্দ উঠোনেযাওয়া হয়নি একবার!

উড়েছো আকাশ পানে,ছুঁয়েছো মেঘের হাত,তবু হৃদয়ের গহীনেজাগেনি কোনো প্রভাত।

জীবনটা শুধু বাহির নয়,ভেতরেও আছে এক জগত,সেইখানেই লুকিয়ে থাকেসত্যের মৌন সঙ্গত।

****

অমরত্ব

দেহ ক্ষণিক—মাটির ঘরে ফিরে যায় একদিন,নিঃশব্দে থেমে যায় শ্বাস,জীবনের কোলাহল মিলিয়ে যায় ধূলিকণায়।

কিন্তু আত্মা?সে তো সময়ের সন্তান নয়সে তো চিরধ্রুব আলো,যার উৎস—এক পরম সত্যের কাছে।

যে আত্মা আল্লাহকে পায়,সে মৃত্যুকেও ছাপিয়ে যায়কারণ আল্লাহর প্রেমে ডুবে গেলেমৃত্যু আর নয় বিভাজন—সেটা হয় মিলনের শুরু।

সেই আত্মা জানে,মরণ মানে শেষ নয়—বরং মোহময় এক দরজা,যেখান থেকে শুরু হয় চিরজীবনের পথচলা।

যে আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছে,তার কাছে মৃত্যুরও কোনো ভয় নেই,কারণ সে তো হারায়নি কিছুই—বরং ফিরে গেছে নিজের উৎসে,আলোকের মাঝে মিলিয়ে।

****

পলিটিক্স

চর্চা হচ্ছে যে পলিটিক্সজাস্ট একটা পাল্লা,তার একপাশে ক্ষমতাঅন্যপাশে মানুষের রক্ত।

কাঁটাটি প্রতিবারই নুয়ে পড়েক্ষমতার পায়,ধারাবাহিক রক্ত ঝরায়ভুলে সব দায়!

ক্ষমতারা রক্তপিপাসুআরও লাশ চায়।মানুষ মরুক,তাতে কার কী আসে যায়!

এসইউ/জিকেএস