কারাগারে যাওয়ার মাত্র ২০ দিন পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি। তার আইনজীবীদের করা আপিলের ভিত্তিতে সোমবার (১০ নভেম্বর) কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল চলাকালীন তিনি মুক্ত থাকতে পারবেন বলে প্যারিসের আদালত রায় দিয়েছে।
আদালত সারকোজির মুক্তি অনুমোদন করলেও তাকে ফ্রান্স ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার মামলার অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই তালিকায় আছেন বর্তমান ফরাসি বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন। তিনি গত অক্টোবর মাসে সারকোজিকে কারাগারে দেখতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের প্রচারের জন্য সারকোজি তৎকালীন লিবিয়ান শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ইউরো অবৈধভাবে গ্রহণ করেছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি পশ্চিমা বিশ্বে গাদ্দাফির ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে হওয়া মামলায় সেপ্টেম্বর মাসে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতের আদেশ মেনে ২১ অক্টোবর তিনি কারাবাসের উদ্দেশে কারাগারে যান। ফরাসি ম্যাগাজিন লে পয়েন্ট জানিয়েছে, সারকোজি কারাগারে কেবল দই খেয়ে দিন কাটিয়েছেন কারণ তিনি আশঙ্কা করেছিলেন অন্য বন্দিরা তার খাবারে থুথু ফেলতে পারে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে সারকোজিকে প্যারিসের লা সঁতে কারাগারের ভিআইপি উইং এ রাখা হয়েছিল। তার কক্ষে খাট, ছোট ডেস্ক, ফ্রিজ, রান্নার চুলা, টেলিভিশন, শাওয়ার, টয়লেট এবং নির্দিষ্ট টেলিফোন লাইন ছিল।
মুক্তির পর সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে সারকোজি বলেন, আমি এখন আপিল শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার সমস্ত শক্তি কেন্দ্রীভূত একমাত্র লক্ষ্য—আমার নির্দোষতা প্রমাণ করা। সত্য শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হবে।
সূত্র : সিএএনকেম