আইন-আদালত

কলাবাগানে চিকিৎসক জান্নাতুল হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ঢাকার কলাবাগানের একটি আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকাকে হত্যার দায়ে স্বামী রেজাউল করিম রেজাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তবে তিনি জামিনে থেকে বর্তমানে পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। রায়ের পর আদালত তাকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেজা ও চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকার পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে তারা পরিবারের অগোচরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতেন।

২০২২ সালের ১০ আগস্ট রেজা তার স্ত্রীর জন্মদিন পালনের কথা বলে পান্থপথের একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে অন্য নারীদের সঙ্গে রেজার সম্পর্ক নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রেজা ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রী জান্নাতুলকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর গোসল করে হোটেলের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যান তিনি।

এই ঘটনায় জান্নাতুলের বাবা শফিকুল আলম পরদিন কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার ইন্সপেক্টর আবু জাফর মোহাম্মদ মাহফুজুল কবির ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০২৪ সালের ৭ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচারকালে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে গত ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

আজ (১৩ নভেম্বর) আদালত রেজাউল করিম রেজাকে ফাঁসির আদেশ দেন।

জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রী ও গাইনি বিষয়ে উচ্চতর কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।

এমডিএএ/এমআইএইচএস/এমএস