আইনজীবীদের একমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর)। এরপর শুক্রবার ছাড়া টানা ১১ দিন বার কাউন্সিল ভবনে এই পরীক্ষা চলবে, শেষ হবে ২৫ নভেম্বর। শনিবার সকাল ১০টা থেকে এবং কর্মদিবসে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার (জেলা ও দায়রা জজ) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর অনুযায়ী ভাইভার জন্য দিন ও সময় বিন্যাস করা হয়েছে।
ভাইভার জন্য সম্ভাব্য সব প্রার্থীকে নিজস্ব প্রবেশপত্র, বার কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন কার্ড, সব একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের মূল কপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচটি দেওয়ানি এবং পাঁচটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত নোট বই বা কেস ডায়েরিও ভাইভা বোর্ডের সামনে পরীক্ষার্থীকে উপস্থাপন করতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই কালো কোট এবং কালো টাই পরে আসতে হবে।
এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭ হাজার ৯১৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৮ জুন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে একজন পরীক্ষার্থীকে বার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আইনের ওপর স্নাতক উত্তীর্ণের পর আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে পরীক্ষার্থীকে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়। ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস পার হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু হয়। আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
এফএইচ/এমএমকে/এএসএম