কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে প্রেষণে নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৮০০ সদস্য। প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের জন্য তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এবং কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে নিয়োগের মেয়াদ ৬ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে।
কাতারের রাজধানী দোহাতে রোববার (১৬ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী থেকে কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে জনবল নিয়োগ’ সংক্রান্ত এ চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান এবং কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অব স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পাইলট) জাসিম বিন মোহাম্মদ আল মান্নাই।
এছাড়াও, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান, ডেলিগেশন সদস্যরা এবং দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রোববার রাতে এ তথ্য জানান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে প্রেষণে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ৮০০ জনকে কাতারে পাঠানো হবে এবং ভবিষ্যতে এ জনবলের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রেরণকৃত জনবল প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবে এবং তাদের কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে নিয়োগের মেয়াদ ৬ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
এ চুক্তির ফলে কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে দক্ষ জনবল পাঠানোর নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো এবং দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। এছাড়া, বাংলাদেশের সদস্যরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন এবং বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সমর্থ হবে।
এর পাশাপাশি, এই সফরকালে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার কাতার সরকার, সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সামরিক শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
গত ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আর্থনা সম্মেলন উপলক্ষে কাতার সফর করেন। সে সময় তিনি কাতার সরকারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সেই সফর ও ফলপ্রসূ কূটনীতির ফলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর ত্বরান্বিত হয়েছে।
এমইউ/টিটি/এএমএ