প্রশ্ন: পিরিয়ডের সময় দরুদ পড়া যাবে কি?
উত্তর: পিরিয়ডের সময় দরুদ পড়া যাবে। এ ছাড়া পিরিয়ডের দোয়া করা যায়, কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়া যায়, জিকিরও করা যায়। তবে পিরিয়ডের সময় কোরআন তিলাওয়াত করা থেকে বিরত থাকতে হয়। এ সময় কোরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। কোরআনে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া জায়েজ যদি কোরআন তিলাওয়াত নয়, বরং দোয়া হিসেবে পড়া হয়।
গোসল ফরজ ও অজু না থাকা অবস্থায়ও দরুদ পড়া জায়েজ। অজুহীন বা গোসল ফরজ অবস্থায় নবীজির (সা.) নাম বললে বা শুনলে দরুদ পড়তে হবে। অনেকে দরুদ পড়ার জন্য অজু-গোসল জরুরি মনে করে অজুহীন ও গোসল ফরজ অবস্থায় নবীজির (সা.) নাম শুনলে দরুদ পড়া থেকে বিরত থাকেন—এটা ঠিক নয়।
রাসুলের (সা.) জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া সব সময়ই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহ কোরআনে নবীজির (সা.) জন্য সালাত ও সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহজাব: ৫৬)
অনেকগুলো হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার জন্য বেশি বেশি দরুদ পড়তে উৎসাহ দিয়েছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (সহিহ মুসলিম) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বার্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুলের জন্য দরুদ পাঠকারী কেয়ামতের দিন তার কাছে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটতম হবে, যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে। (সুনানে তিরমিজি)
আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) নাম উচ্চারণ করলে বা শুনলে দরুদ পড়া ওয়াজিব। কোনো আলোচনায় বা লেখায় নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাম উচ্চারণ করা হলে বা পাঠ করা হলে লেখক, পাঠক, শ্রোতার জন্য অন্তত একবার নবীজির ওপর দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। একই বৈঠকে বা লেখায় একাধিকবার নবীজির (সা.) নাম আলোচিত হলে একবার দরুদ বলা ওয়াজিব, আর একাধিকবার দরুদ পড়া মুস্তাহাব।
ওএফএফ/এএসএম