চাঁদপুরের হাইমচরে ধানক্ষেত থেকে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী জহিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ৪ নম্বর নীলকমল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাঢ়িকান্দির একটি ধানক্ষেতে ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, জহিরুল ইসলাম নিজেই তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসী জহিরুলকে আটকের পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকার করেছে। পরে তাকে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহিরুলকে এলাকাবাসী জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এই বউ আমাকে আগেই কয়েকবার মেরে ফেলতে চাইছে। তাই আমি নিজেই ওরে আজ মেরে ফেলছি। প্রায়সময় আমাকে হুমকি-ধমকি দিতো। এমনকি মারধর করতো। আমি তাকে নিজের হাতে মেরে ফেলছি। আমার কোনো সহযোগী ছিল না।’
নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনির সিকদার বলেন, আমি দুপুর ২টার দিকে জানতে পারি ওর কাপড়-চোপড় নদীর পাড়ে এলাকাবাসী দেখতে পায়। তাই আমিসহ অনেকেই খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। এক পর্যায় আমরা খালের পাড়ের ধানক্ষেতে দেখতে পাই- লাশ হয়ে পড়ে আছে মেয়েটি। পাশেই দেখতে পাওয়া যায় তার স্বামী জহিরুলকে। তাকে জিজ্ঞেস করলে নিজেই তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে বলে স্বীকার করে। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই নারীর স্বামী হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পুলিশ তাকে আটক করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হবে।
শরীফুল ইসলাম/বিএ