মসুর ডাল, কিশমিশ, আতপ চাল—সুগন্ধী ঘ্রাণ, হাঁড়িতে চাপে ভোজন কোলাহল। ভোগ-উপভোগে নারিকেল শাস ডুবে আছে সামুদ্রিক স্নান। সূর্যাস্ত বিকেল—গোপন দূরবীন, পরাভূত সাবমেরিন—জানালা খুলে দেখে সহবাসের শেষ দৃশ্য।
ভাতের ফ্যান গড়িয়ে পরে নদী পর্যন্ত
তাথৈ নৃত্য—নূপুরের ঝঙ্কার, অনাবৃত এটিএম কার্ডের ঝিলিক—চকচকে রাত। ঝাউবাতি—অন্তরঙ্গ ছায়া দুলছে বা কাঁপছে কোমর ও ঠোঁট। তড়িৎ তরঙ্গে নাচে ছায়াবৃক্ষ—শাখা-প্রশাখায় জড়িয়ে আছে স্বর্ণলতা—প্রভুর হাতে খুলে যাচ্ছে বেমানান দাসির মালা।
****
কলেরা হওনের বছর দাদি মরছে, তারে আর স্বপ্নে দেহি নাই। মাঝে মাঝে মা কইতো ঝোপের ধারে দাদির খাড়ানির কথা। কচুফুল হাতে হাসতে দেখছে সে। মাঝরাইতে ঘুম ভাইঙা গেলে হুনি মমতাজের কান্দন—ফুলজান বিবি হেতিরে ভেঙচি কাটে।
ফুলজান বিবি—আমগো দাদি, ধলা বুলবুল চেহারা। চেহারা দেহনের তিন দিন পর প্যাট ফুইলা মরছে মমতাজ। এরপর মমতাজরে কোনোদিন স্বপ্নে দেখি নাই।
করোনা আওনের পর একদিন আব্বা কইলো নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সেদিন ভোরবেলা ঝুম বৃষ্টি। দাদি ও মমতাজ কদম ফুলের মালা গাঁথলো। আমি দেখছি জোর কইরা পরাই দিছিল, আব্বা তহন দাদার কবর ধইরা হাসতেছিল মউতের উছিলায়। ফজরের আজান কানে আইবার আগেই চাচাজান পড়ল—ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
****
তুমি মধ্যবিত্তের বিস্কুট আর ধনীর বিস্কিট। আমরা তোমাকে মজা বলতে ভালোবাসি। কারণ আমরা গরিব। বছরে দুয়েকবার বাবার হাত ধরে আমাদের বাড়ি আসে আল-আমিনের পাইনএপেল। আমরা ইঁদুর হয়ে যাই। কুটকুট শব্দে ভরে ওঠে দাঁতের উঠোন।
এভাবে দীর্ঘক্ষণ আমাদের সঙ্গী হয় বিস্কুট। মুখে লেগে থাকে নাবিস্কো রং আর বানানা ঘ্রাণ। জিভ লেপ্টে থাকা ক্রিম—ভুলিয়ে দেয় পৃথিবীময় বিস্বাদ।
এসইউ/জেআইএম