৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমদিনে বাংলা (০০১) পরীক্ষা হবে।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানায়, কারিগরি বা পেশাগত এবং সাধারণ ও কারিগরি বা পেশাগত-উভয় ক্যাডারের পরীক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৪৭তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৪৪ জন প্রার্থী। তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
এদিকে, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে প্রায় এক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন প্রার্থীদের একাংশ। তাদের দাবি- প্রিলির ফল প্রকাশের পর প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় পাননি তারা।
তবে পিএসসি তাদের এ দাবি উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্তে অনড়। এ কারণে তারা আজ শুরু হতে যাওয়া এ পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বুধবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘোষণা দেন।
লিখিত পরীক্ষায় পিএসসির যত নির্দেশনাএ পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ম মেনে চলতে হবে। পরীক্ষার কক্ষে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, স্মার্টওয়াচ, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ অন্যান্য সামগ্রী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে কোনো প্রার্থী যদি পরীক্ষার সময় নিয়ম ভাঙেন বা অসদুপায় অবলম্বন করেন, তবে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশের সময় প্রার্থীদের মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র যাচাই করে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করলে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া পরীক্ষার হলে প্রবেশের পর পরীক্ষার্থীরা মুখ বা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবেন না। ভুল কোড পূরণ, কাটাকাটি কিংবা ফ্লুইড ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট উত্তরপত্র বাতিল হয়ে যাবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী যদি পরীক্ষার সময়ে অসদুপায় অবলম্বন করেন, তাহলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বিশেষ ব্যবস্থা ও সুবিধাপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য পিএসসি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রুতিলেখক প্রদান করবে। বিশেষত, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। এছাড়া, পরীক্ষার প্রতি কক্ষে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে, যাতে পরীক্ষার শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
এএএইচ/এমএএইচ/এমএস