জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল (এমএইচ হল) ভাঙার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দেড় বছর আগে। তবে আজও কার্যক্রমের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১২ মার্চ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সভায় আরবান রেজিলিয়েনন্স প্রজেক্টের আওতায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জাবির এমএইচ হলসহ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলা বা পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। পরে পাঁচ দিনের মধ্যে এমএইচ হল খালি করতে চিঠি দেয় রাজউক। তা না করায় গত বছর ফের চিঠি দিয় সংস্থাটি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পরের মার্চ মাসের সিন্ডিকেট সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমদ আনসারীকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের দেড় বছর পার হলেও হল ভাঙার কার্যক্রমের কোনো অগ্রগতি নেই।
মীর মশাররফ হোসেন হল সংসদের ভিপি খালেদ জুবায়ের শাবাব বলেন, বছর দুয়েক আগে রাজুউক থেকে এমএইচ হল খালি করার সিদ্ধান্ত এসেছিল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। ভূমিকম্প মোকাবিলায় এম এইচ হল কতটুকু নিরাপদ তা পুনরায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরীক্ষা করা উচিত। তবে কিছু দিন আগের ভূমিকম্পে হলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তিনি জানান।
হলের প্রভোস্ট সাময়িক ছুটিতে থাকায় ওয়ার্ডেন অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘তৎকালীন প্রশাসন হল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এর আর কার্যক্রম দেখা যায়নি। হল প্রশাসনের সঙ্গেও পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও উপ-উপাচার্য সোহেল আহমেদর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান জানান, বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্তের আগে হওয়ায় তিনি অবগত নন।
১৯৭৩ সালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় জাবির এমএইচ হলের। দুই একর ৮১ শতাংশ জায়গাজুড়ে নির্মিত প্রজাপতি আকৃতির এ হলের স্থপতি ছিলেন সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম। বর্তমানে হলটিতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর বসবাস।
রকিব হাসান প্রান্ত/এসআর/জিকেএস