নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় তেমন ঠান্ডা না পড়লেও শহরজুড়ে শীতের আমেজ বইছে। এর মধ্যেই বাহারি সব শীতের পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছেন ভুটিয়ারা। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার নাগরিকরাও শীতবস্ত্র কিনতে মুখিয়ে থাকেন।
ভুটিয়া বলতে বোঝায় তিব্বতী বংশধারার সিকিমীদেরকে। অন্যদিকে, ভোটিয়া হলো উত্তর-পূর্ব নেপালের তিব্বতী জনগণের একটি বৃহত্তর গোষ্ঠী। ভুটিয়ারা তাদেরই সদস্যদল।
প্রতি বছরের মতো চলতি বছরেও নিউমার্কেট, ওয়েলিংটন স্কোয়্যারসহ কলকাতার অনেক জায়গায় অল্প দামে গরম পোশাকের পসার মেলে বসেন ভুটিয়ারা। শীতের তিন মাস অস্থায়ী স্টল সাজিয়ে বসেন নেপাল ও ভুটানসহ ভারতের সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, দার্জিলিং, কাশ্মীরের মতো শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।
তাদের বোনা পশমের নরম কম্বলসহ শীতের রকমারি পোশাকও বেশ প্রসিদ্ধ। রকমারি রঙের নরম কম্বল, শাল, হাত মোজা, উলের সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, টুপি, পঞ্চু বিক্রি করে থাকেন তারা।
তবে কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় ক্রেতার সংখ্যা এখনো কম। এছাড়া বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা কম থাকায় তাদের বিক্রিও আগের মতো হচ্ছে না। কারণ, গত বছরগুলোতে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেশি থাকায় ভুটিয়াদের আনা নরম কম্বল থেকে শুরু করে শীতের রকমারি পোশাক ব্যাপক হারে বিক্রি হতো। এখন তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে শুধু কলকাতার ক্রেতাদের ওপর।
ভুটিয়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যেক বছর এই সময় তারা গরম পোশাক বিক্রি করতে আসেন। এই তিন মাসের আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। কলকাতার নাগরিকসহ বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা করতে আসেন। তবে চলতি বছরে কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটক কম থাকায় বিক্রি অনেকটাই কম হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা তেনজিন ভুটিয়া বলেন, এবার বিক্রি আগের মতো হচ্ছে না। ঠান্ডাও সেই রকম পড়েনি। গত দিনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি পর্যটক আমাদের কাছ থেকে নরম কম্বল কিনে নিয়ে যেতেন। কিন্তু এখন সেভাবে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না। আমাদেরকে নির্ভর করতে হচ্ছে কলকাতার নাগরিকদের ওপর। আমরা আশা রাখছি, শীত বেশি পড়লে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে, বিক্রিও ভালো হবে।
ডিডি/এসএএইচ