‘চাঁন্দা পার্টি’র জবাব ব্যালেটের মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখমাত্র রাশেদ প্রধান।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে আয়োজিত আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে রাশেদ প্রধান বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে কথা হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর ওই চাঁন্দা পার্টি ২০০ প্লাস খুন করেছে। চাঁদাবাজির হিসাব করতে গেলে ক্যালকুলেটরে এখন আর ডিজিট উঠছে না। এত বেশি চাঁদাবাজি। এভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সম্ভব নয়। আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা করা হচ্ছে। বুলেট ছুড়ে মারা হচ্ছে। আমি রাজশাহী বিভাগের নেতাদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ওই চাঁন্দা পার্টির বুলেটের জবাব এবার ব্যালটে হবে ইনশাআল্লাহ।’
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতে তিনবার গণভোট হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করার কোনো ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব নেওয়ার পরে মিডিয়ার সামনে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট আয়োজন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। যারা আয়োজন করবেন সেই নির্বাচন কমিশনার বুঝে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিএনপি বুঝতে পারেনি। বাংলাদেশের জনগণ বুঝে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য অন্তর্বর্তী সরকার নাকি এখনো বুঝতে পারেনি।’
রাশেদ প্রধান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে চিনে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়া জাতীয় পার্টি আর ১৪ দলকে এখনো চিনতে পারেনি। কথাবার্তা পরিষ্কার। এখনো সময় আছে। নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের আয়োজন করুন। আওয়ামী লীগের মতই ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন।’
জোটের পোস্টার ছেঁড়া প্রসঙ্গে জাগপার মুখপাত্র বলেন, ‘বিগত কয়দিন আমি আমার নির্বাচনী এলাকা পঞ্চগড়ে বিভাগীয় সমাবেশের আট দলের পোস্টার লাগাচ্ছিলাম। আমরা এক পাশ দিয়ে লাগাই, আরেক পাশ দিয়ে চান্দা পার্টি পোস্টার ছেঁড়ে। চাঁন্দা পার্টিকে বলতে চাই, ডা. শফিকুর রহমান, পীর সাহেব চরমোনাই, আল্লামা মামুনুল হকসহ নেতাদের ছবি এবং নাম পোস্টার থেকে ছিঁড়তে পারবেন, মানুষের মন থেকে মুছে দিতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল রাজশাহী এসে পৌঁছেছি। আসার পরে রাজপথে যখন হাঁটছিলাম, আমার বারবার মনে হচ্ছিল এই রাজশাহীর রাজপথ বারবার ইসলামী কাফেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। আমি হাঁটছিলাম আর স্মরণ করছিলাম— আল্লাহ ছাড় দেয় ছেড়ে দেয় না। রাকসুর নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেছে এই দেশ ইসলামের দেশ।’
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/জেআইএম