ভোলার তজুমদ্দিনে চুরির অভিযোগে মো. সেলিম (৪০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সেলিম উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষের হাওলা গ্রামের মো. মমতাজ মাঝির ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চুরির অভিযোগে সেলিম কয়েক মাস আগেও জেল খেটেছেন। গত রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে সেলিম একই ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হক হাওলাদার বাড়ির আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে চুরি করতে ঢোকেন। বাড়ির লোকজনের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আনোয়ারের বাড়ির পেছনের ধানক্ষেত থেকে সেলিমকে আটক করে। এরপর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা তাকে ব্যাপক মারধর করে। এতে সেলিম গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে রোববার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় দফাদার ঘটনাস্থলে যান এবং তজুমদ্দিন থানায় বিষয়টি জানান। পরে সেলিমের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর ইউনিয়নের দফাদার মো. ভূট্টু জানান, স্থানীয়দের কাছে তিনি শুনেছেন যে সেলিম চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন এবং দৌড়ে পালানোর সময় ধানক্ষেতে আটকা পড়লে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। তিনি পুলিশের পরামর্শে আহত সেলিমকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
এদিকে, নিহতের স্ত্রী রেখা বেগম অভিযোগ, তার স্বামী সেলিমকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, তার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় আনোয়ার হোসেনের ‘রাজনৈতিক সমস্যা’ ছিল। এই সমস্যার কারণেই গত ৫/৬ মাস ধরে তার স্বামী বাড়িতে আসতেন না এবং ভোলায় থাকতেন। রেখা বেগম অভিযোগ করেন, আনোয়ার ও রিয়াজসহ কয়েকজন তার স্বামীকে মারধর করে মেরে ফেলেছেন এবং তিনি এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছেন। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত করা হবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/কেএইচকে/জেআইএম