পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা-রেহানা-টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম। রায়ের শুরুতেই বিচারক বলেন, উপস্থাপিত সব সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। শেখ রেহানার অবৈধ সুবিধা গ্রহণ, টিউলিপ সিদ্দিকের প্রভাব খাটানো এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনিয়মের বিষয়টি আদালতে স্পষ্ট হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরাও দুর্নীতি ও অনিয়মে সহযোগিতাকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন বিচারক।
টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায় এই মামলায় তার বিচার হয়েছে বলে আদালত উল্লেখ করেন।
রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তার বোন শেখ রেহানাকে সাত বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মেয়ে ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছর কারাদণ্ড ও একই অঙ্কের জরিমানা দেওয়া হয়। অনাদায়ে সবাইকে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এ ছাড়া আরও ১৪ আসামিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। জরিমানা অনাদায়ে তাদেরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, শেখ রেহানা ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি প্লট নেন। প্রথমে ১৫ জনকে আসামি করা হলেও পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয় এ মামলায়।
৩২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও দাখিল করা নথি পর্যালোচনা করে আদালত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেন। রায়ের পর দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মঈনুল হাসান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণে পুরোপুরি সফল হয়েছে।
এমডিএএ/এসএনআর/জেআইএম