আন্তর্জাতিক

মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

বিভিন্ন স্থানে কয়েক দিনের টানা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতটির অবসান নিয়ে তারা খুবই আশাবাদী।

তবে কিয়েভ এবং ইউরোপীয় মিত্ররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে উইটকফ আলোচনায় রাশিয়ার কাছে অতিরিক্ত ছাড় দিয়ে ফেলতে পারেন।

মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ড সফরে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, যেখানে তিনি ইউরোপীয় সমর্থন জোরদার করার চেষ্টা করেন। এই সময়েই মার্কিন-রাশিয়া বৈঠক কিয়েভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

নভেম্বরে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হয়েছে। একই সময়ে কিয়েভ দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে কাঁপছে, যার ফলে ইউক্রেনের শীর্ষ আলোচক—জেলেনস্কির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী পদত্যাগ করেছেন।

রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। জেলেনস্কি বলেছেন, ক্রেমলিন তার দেশকে “ভেঙে ফেলতে” চাইছে।

আয়ারল্যান্ডে জেলেনস্কি ইউক্রেনের আলোচক রুস্তেম উমেরভের কাছ থেকে ব্রিফিং নেন। উমেরভ ফ্লোরিডা থেকে ফিরে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবে কয়েকটি জটিল বিষয়ে আরও কাজ বাকি।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি এখনো ভূখণ্ড, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করতে চান।

মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেন, রাশিয়ার প্রকৃত লক্ষ্য শান্তি নয়—পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করানো।

পুতিন সমঝোতার শর্ত হিসেবে দাবি করেছেন, ইউক্রেনকে সেই সব এলাকা ছেড়ে দিতে হবে যেগুলোকে রাশিয়া নিজেদের বলে দাবি করে।

এদিকে কিয়েভ জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের পোকরোভস্কে লড়াই চলছে—যে শহরটি দখলে নিতে রাশিয়া মাসের পর মাস চেষ্টা করছে। যদিও আগের দিনই মস্কো দাবি করেছিল যে তারা শহরটি দখল করেছে এবং কেন্দ্রস্থলে পতাকা উত্তোলন করেছে।

পোকরোভস্ক পতন হলে তা রাশিয়ার জন্য প্রতীকী বিজয় হবে। উইটকফ–পুতিন বৈঠকের আগের রাতেই পুতিন সামরিক পোশাক পরে কমান্ডারদের কাছ থেকে শহর দখলের খবর শোনেন।

গত সপ্তাহেও পুতিন পুনর্ব্যক্ত করেন, কিয়েভ যদি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল ছেড়ে না দেয়, তবে ডোনেৎস্ক অঞ্চলের বাকি অংশ দখলে তারা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম