ফুলহ্যামের বিপক্ষে ৯ গোলের থ্রিলারে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সেই ম্যাচে একটি গোল করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে দ্রুততম ১০০ গোল করার রেকর্ড গড়লেন আর্লিং হালান্ড। ভেঙে দিয়েছেন অ্যালান শিয়ারারের রেকর্ড।
শিয়ারার ১৯৯৫ সালে ১২৪ ম্যাচে শততম গোলের দেখা পেয়েছিল। ৩০ বছর পর তার চেয়ে ১৩ ম্যাচ কম খেলে ১১ ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন হালান্ড। মাত্র ২৫ বজর বয়সে তিনি বনে গেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্রুততমত ১০০ গোলের মালিক। চলমান মৌসুমে ২০ গোল করেছেন তিনি ১৯ গোলে। হালান্ডের কাছে সুযোগ ছিল আরও দুটি গোল করার। কিন্তু ম্যাচের দুই অর্ধে দুবার পোস্টে লেগে ফেরত এসেছে তার প্রচেষ্টা।
ফুলহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে টানা ৩ ম্যাচ কোনো গোলের দেখা পাননি হালান্ড। নিউক্যাসল ও বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে পরাজয়ের পর লিডসের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও কোনো গোল করতে পারেননি তিনি। তবে চলমান মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১৫ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।
ম্যাচশেষে হালান্ড বলেন, ‘এটি গর্বের মুহূর্ত। ১০০ গোলের ক্লাবে প্রবেশ অনেক বড় ব্যাপার। এত দ্রুত এটা করতে পারা অবিশ্বাস্য। আমি গর্বিত, আমি খুশি।
আমি আগেও অনেকবার বলেছি—সিটির একজন স্ট্রাইকার হিসেবে অনেক গোল করা উচিত। সেটাই আমার কাজ, আমি তাই করার চেষ্টা করি। আর সেটা আমি খুব খারাপ করছি না।’
২০২২ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর একাধিক অর্জন আছে তার সিটির জার্সিতে। এরমধ্যে শিয়ারারের রেকর্ড ভেঙে ইপিএলে দ্রুততম ১০০ গোল সবচেয়ে বড় অর্জন। হালান্ডকে যেতে হবে আরও অনেক দূর। শিয়ারারের ২৬০ গোলের রেকর্ড ছুঁতে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
হাল্যান্ডের এই অর্জন প্রসঙ্গে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন,‘অভিনন্দন, এটা অবিশ্বাস্য। আমি আর কী বলতে পারি? আজ সে ছিল অসাধারণ। দুর্দান্ত গোল করেছে। এই আনন্দ উপভোগ করুক, আশা করি সে আরও ক্ষুধার্ত থাকবে এবং ক্লাবের হয়ে গোল করে যাবে।’
এ মৌসুমের শুরুর দিকে হাল্যান্ড তার ‘রোবট’ উদযাপনও দেখিয়েছেন। সিটির গোলের ওপর তার প্রভাব বোঝা যায় লিগে ক্লাবটির মোট ৩২ গোলের মধ্যে তিনি একাই করেছেন ১৫টি।
প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে দ্রুত ১০০ গোল করার পথে হালান্ডের অগ্রযাত্রা যেন তার ইংল্যান্ডে অভিষেক মৌসুম থেকেই লেখা ছিল।২০২২–২৩ মৌসুমে তিনি ৩৩ ম্যাচে রেকর্ড ৩৬ গোল করে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন।
সেই ধারাবাহিকতায় হালান্ড মাত্র ১১১ ম্যাচেই শত গোল স্পর্শ করেন—১৩ ম্যাচ কম খেলে শিয়ারারের আগের রেকর্ড ভেঙে।
আইএন/জেআইএম