দেশজুড়ে

সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পেলো নতুন নির্বাহী পরিচালক

পরিকল্পিত, আধুনিক ও পর্যটনবান্ধব সিলেট নগর গড়ার দীর্ঘ প্রত্যাশা অবশেষে পূর্ণতার পথে। প্রায় দুই বছর আগে জাতীয় সংসদে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২৩’ পাস হলেও কেবল আইনে সীমাবদ্ধ ছিল সিউক। তৈরি করা হয়নি সংস্থাটির কাঠামো। হয়নি বাজেট বরাদ্দও। ফলে কার্যত অকার্যকর ছিল প্রতিষ্ঠানটি।

অবশেষে পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে সিউক। মাঠ প্রশাসনের অভিজ্ঞ কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদকে সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গত ১৭ নভেম্বর গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে তার পদায়নের আদেশ জারি করা হয়। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণ ফিরে পেল সিউক।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর সিলেট গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহম্মদকে নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নতুন নিয়োগ পাওয়া মো. সাদি উর রহিম জাদিদ গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকায় যোগদানপত্র জমা দিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সন্তান জাদিদ সর্বশেষ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও ২০১৯ সালে তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘গত সোমবার ঢাকায় যোগদানপত্র জমা দিয়ে এসেছি। আপাতত গণপূর্ত ভবনে অফিস কার্যক্রম চলবে। পরে স্থায়ী অফিস স্থাপন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।’

সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০২২ সালে। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর আশপাশকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের আওতায় আনতে, পর্যটনসমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোকে আধুনিক অবকাঠামোসহ গড়ে তুলতে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে এই কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার। ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মন্ত্রিসভা ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদে পাস হয় ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২৩’।

আহমেদ জামিল/আরএইচ/এমএস