নতুন বছরে বাড়িভাড়া না বাড়াতে বাড়িমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন বছর এলেই ভাড়াটিয়া এবং বাড়িমালিকদের মধ্যে কিছু বৈরি পরিবেশগত বিপত্তিকর অবস্থা বা বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত।
এ পরিস্থিতির অবসানে অন্তবর্তী সরকারকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু তাই নয়- আগামীতে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা প্রসারিত হলে সেখানে মেস সংঘের একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক সৈয়দ আখতার সিরাজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে দু’বার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থী আয়াতুল্লাহ আকতার, নতুন ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, আকতার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সংবিধানের চারটি মূলনীতি ও তৎসহ নীতিসমূহ থেকে উদ্ভূত অন্যসব নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলে পরিগণিত। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম ও নিষ্ঠুর পরিহাস স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। অনেক মানুষ এখনো গৃহহীন। দ্বিতীয়ত যারা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তারা বাড়ি ভাড়ার যন্ত্রণা যে কি জিনিস তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন। কাজেই হাইকোর্টের রায় অনুসারে বাড়িভাড়ার বিড়ম্বনা দূর করতে হবে।
বিএমও প্রতিনিধিরা বলেন, বাড়িমালিক ও ভাড়াটিয়ার সু-সম্পর্ক বিদ্যমান রাখতে হবে। ভাড়া সংক্রান্ত বিদ্বেষ বা বিরোধের অবসানে আইনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে জনদুর্ভোগের লাঘব প্রয়োজন। শহরের ভাড়াটিয়া বিশেষ করে চাকরিজীবী, শ্রমজীবী, শিক্ষার্থী প্রতি নতুন বছরে মেস/বাড়ি ভাড়া নিয়ে মহাবিড়ম্বনায় বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়েন। তাদের আয়ের সিংহভাগ বাড়ি ভাড়ায় চলে যায়। দ্বিতীয়ত এক শ্রেণির বাড়িমালিক নতুন বছরে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া বৃদ্ধি করে থাকেন। আমাদের দাবি অযৌক্তিকভাবে কোনো অবস্থাতেই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না। বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।
এমএএস/এমএমকে/জেআইএম