দেশজুড়ে

ময়মনসিংহে দাম কমেছে সবজি-মাছের, স্বস্তিতে ক্রেতারা

ময়মনসিংহের বিভিন্ন বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। একইসঙ্গে মাছের দামও কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কমেছে। হঠাৎ এই দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে দাম আরও কমতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরতলির ঐতিহ্যবাহী শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে সবজি ও মাছের দাম কমার এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীতের আমেজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এতে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ নিয়মিত বাড়ছে। ফলে দাম নিম্নমুখী। বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহ কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তবে এখন অর্ধেক কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়া গোল বেগুন ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০, চিকন বেগুন ৬০ টাকা থেকে কমে ৪০, টমেটো ৮০ টাকা থেকে কমে ৭০, ধুন্দল ৫০ টাকা থেকে কমে ৪০, চায়না গাজর ১২০ টাকা থেকে কমে ১১০ ও দেশি গাজর ৭০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঢ্যাঁডশ ৬০, ঝিঙে ৬০, শসা ৫০, করলা ১০০, শিম ১০০, পটোল ৬০, কাঁচা পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি, লাউ ৫০ টাকা পিস, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারে বেশিরভাগ মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে মৃগেল ২৬০-৩৩০, কাতলা ৩৪০-৪৪০, সিলভার কার্প ২১০-২৮০, তেলাপিয়া ২০০-২৮০, পাঙাশ ১৬০-১৯০, রুই ৩২০-৪২০, কালাবাউশ ৩০০-৩৭০, ট্যাংরা ৫১০-৭৮০, পাবদা ৩৯০-৫২০, শিং ৩৪০-৬৪০, টাকি ৪১০-৫৪০, শোল ৫৯০-৬৪০ ও কৈ ২৪০-৩৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল অবস্থায় কক মুরগি ২৯০, ব্রয়লার মুরগি ১৬০, খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি কিনতে আসা জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে সবজি ও মাছের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। বর্তমানে শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার। এতে দাম কমেছে। তবে বাজারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিং থাকলে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ক্রেতা বলছেন, অনেকদিন ধরে মাছের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এখন সামান্য দাম কমানো হয়েছে। দাম আরও কমানো প্রয়োজন। তাহলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা স্বস্তিতে কিনতে পারবে।

সবজি বিক্রেতা হাবান মিয়া বলেন, কয়েকদিন যাবৎ সবজির সরবরাহ বাড়ছে। ফলে পাইকারিভাবে দাম কমে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারাও দাম কমিয়ে বিক্রি করছেন। এতে জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা মোরশেদ আলী বলেন, আড়তে মাছের দাম সামান্য কমেছে। ফলে আমরাও দাম কিছুটা কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি। তবে আড়তে দাম বেড়ে গেলে ক্রেতাদের কাছে আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হবো।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, যে কোনো ধরনের পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে হবে। তবে অনেকেই মনমতো দামে বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারি করতে চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ময়মনসিংহের সবগুলো বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এরপরও অহেতুক কেউ দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর চেষ্টা করলে অভিযান চালিয়ে বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অন্যান্য বাজারগুলোতেও নজরদারি রয়েছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/কেএইচকে/জেআইএম