অর্থনীতি

বিনিয়োগে ৫ চ্যালেঞ্জ, সমাধানে নানা উদ্যোগ বিডার

সেবার মান, দুর্নীতি, অস্থীতিশীল নীতি, পরামর্শ ছাড়াই নীতি গঠন ও সম্পদের অনিশ্চয়তাকে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সংস্থাটি জানিয়েছে বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠন ও সমন্বয়, নীতি ও সেবার আধুনিকায়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষণ প্রয়োজন। আর এ লক্ষ্যে বিনিয়োগ সংস্থা একীভূতকরণ, রিসার্চ ও পলিসি উইং গঠন, এফডিআই পাইপলাইন করাসহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিডা জানায় এসব উদ্যোগের মধ্যে ২৪টি উদ্যোগ বা ৭৫ শতাংশ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। আর সাতটি উদ্যোগ বা ২২ শতাংশ উদ্যোগ চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে পদক্ষেপ-অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিডার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে বিনিয়োগ সংস্থা একীভূত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে, যার ফলে সম্পদ ও দক্ষতার বৃহত্তর সংস্থান হবে। এছাড়া বিডার রিসার্চ ও পলিসি উইং, ইনভেস্ট প্রমোশন উইং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিডার অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সাভার ট্যানারি শিল্প পার্কের ব্যবস্থাপনা বেপজার কাছে হস্তান্তর ও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে পরামর্শ পরিষদ গঠন।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো চালু, গ্রিন চ্যানেলের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করা, আংশিক রপ্তানিকারকদের জন্য বন্ড সুবিধা চালু, বন্ডেড পণ্যের এইচএস কোড অমিল হলেও দ্রুত খালাস, নিরাপত্তা ছাড়পত্র ডিজিটালাইজেশন, ক্যাপিটাল জাতীয় রিপ্যাট্রিয়েশন বিষয়ক কমিটির প্রস্তাবনা চূড়ান্তকরণ ও বৈদেশিক ঋণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সেবা আবেদনের একক প্ল্যাটফর্ম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এফডিআই হিটম্যাপ, এফডিআই প্রণোদনা প্যাকেজ, এফডিআই পাইপলাইন ও জাতীয় বন্দর কৌশলসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এসএম/এমএমকে/জেআইএম