ফলমূলকে সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় শীর্ষে রাখা হয়। তবে শরীরের অবস্থা, মৌসুম এবং নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের সময় কোন ফল খাওয়া ঠিক, কোনটি নয়-এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। বিশেষ করে মাসিকের সময় অনেক নারী ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে কিছু ফল খেতে আগ্রহী হলেও শীতকালে সব ফল সমানভাবে উপকারী নাও হতে পারে।
পিরিয়ডের সময় অনেকেই তলপেটের ব্যথা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বমিভাবসহ নানা উপসর্গ অনুভব করেন। কিছু ফল এসব সমস্যাকে হালকা করতে সাহায্য করলেও কিছু ফল আবার হজমের গণ্ডগোল, গ্যাস বা ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায়।
আরও পড়ুন:
যে কারণে ডাক্তার শীতে গাজর খেতে বলেন চুমুতেই কমবে ওজন, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন কিছু ফল পিরিয়ডে সমস্যা বাড়াতে পারে?মাসিক চলাকালে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ওঠানামার কারণে হজমতন্ত্র সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, পানি জমে শরীর ভারী লাগে এবং তাপমাত্রার তারতম্য দেখা দেয়। এ সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা, বেশি অ্যাসিডিক বা ফার্মেন্টেড জাতীয় ফল খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে ব্যথা ও অস্বস্তি বাড়তে পারে। তাই সচেতনভাবে ফল বেছে খাওয়া প্রয়োজন।
আনারস: আনারসে থাকা ব্রোমেলেন কিছু মানুষের ক্ষেত্রে জরায়ুর পেশিকে দ্রুত সংকুচিত করতে পারে। এতে ক্র্যাম্প বা তলপেটের ব্যথা বেড়ে যায়, যার ফলে পিরিয়ডের অস্বস্তি আরও তীব্র হতে পারে।
পেঁপে: আধাপাকা পেঁপে জরায়ুর কার্যক্রমে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। বেশি খেলে হজমের সমস্যা, পেটফাঁপা বা অস্বস্তি বাড়তে পারে। তাই এই সময়ে পরিমাণ মতো খাওয়া দরকার।
আঙুর: শীতের সহজলভ্য এই ফলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকায় অনেকেরই গ্যাস ও পেটফাঁপার সমস্যা হয়। পিরিয়ডের সময় যেহেতু হজমতন্ত্র সংবেদনশীল থাকে, তাই আঙুর তখন খেলে অস্বস্তি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
সাইট্রাস ফল: কমলা, মাল্টা, লেবুর মতো সাইট্রাস ফলে ভিটামিন সি প্রচুর থাকলেও অতিরিক্ত খেলে অম্লত্ব বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে বুকজ্বালা, পেটব্যথা ও বমিভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নাশপাতি ও আপেল: ফলদুটি স্বাস্থ্যকর হলেও শীতকালে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা অবস্থায় খেলে হজমে সমস্যা বা পেটফাঁপা দেখা দিতে পারে। ফলে মাসিকের সময় এগুলো না খাওয়াই ভালো, অথবা খেতে হলে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে খান।
তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন
জেএস/