কানাডা ও সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৭৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫২০ টাকা। এছাড়া ১৯৪ কোটি টাকায় ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিকজ টন এবং আপদকালীন ও জরুরি পরিস্থিতি এবং দেশীয় কারখানায় সারের ঘাটতি মোকাবিলায় আরও ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি করা হয়।
চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মেট্রিক টন ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার হিসেবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০৩ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ টাকা।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, বিএডিসি কর্তৃক কানাডা হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। আগের চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ১ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৭২ কোটি ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৫১ দশমিক ৫০ ডলার।
এছাড়া বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লি. (ডিএপিএফসিএল) -এর জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ডিএপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক এসিড বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপত্র জমা পড়ে। প্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই, ইউএই থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড ১৯৪ কোটি ২৩ হাজার ৮৭২ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমএএস/এমএএইচ/