মালয়েশিয়ায় সঞ্চয় স্কিম প্রভিডেন্ট ফান্ডে ১৩ লাখ বিদেশি কর্মী নিবন্ধন করেছেন। চলতি বছরের ১ অক্টোবর এ স্কিম কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার নিয়োগকর্তার মাধ্যমে ১৩ লাখ বিদেশি কর্মী নিবন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
মালয়েশিয়ার কর্মী সঞ্চয় তহবিল (কেডব্লিউএসপি) বলছে, দায়িত্বশীল ও আইনানুগ নিয়োগকর্তাদের মধ্যে এটি এক ইতিবাচক সূচনা। তবে এখনো কিছু নিয়োগকর্তা বাধ্যতামূলক অবদান প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছেন, যা তাদের বিদেশি কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
এই অবস্থায় ‘কেডব্লিউএসপি’ বিদেশি কর্মীদের সুরক্ষা জোরদার ও আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে একটি কৌশলগত নোট অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওসি) স্বাক্ষর করেছে।
বৃহস্পতিবার পুত্রজায়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমাবেশে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা নোটকে কেডব্লিউএসপি ১৯৯১ সালের আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
কেডব্লিউএসপি জানায়, ইমিগ্রেশন ও কেডব্লিউএসপিএর মধ্যে সিস্টেম সমন্বয় কার্যকর হওয়ায় এখন উভয় সংস্থা আরও নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদভাবে তথ্য বিনিময় করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে অস্থায়ী কর্মভিসা (পিএলকেএস) এবং মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের অনুমতিপ্রাপ্ত অন্যান্য বৈধ পাসসংক্রান্ত তথ্য।
কেডব্লিউএসপিএর প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা সাযালিজা জাইনুদ্দিন বলেন, এই সহযোগিতা কর্মীদের পরিচয় যাচাই আরও শক্তিশালী করবে এবং বিদেশি কর্মীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে।
তিনি বলেন, এটি বাধ্যতামূলক অবদান বাস্তবায়নে পূর্ণাঙ্গ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং এর কার্যকর প্রয়োগে বড় ভূমিকা রাখবে।
সাযালিজা আরও জানান, ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে বাধ্যতামূলক অবদানের পূর্ণ প্রয়োগ শুরু হলে এই সমন্বিত ডেটা সিস্টেম যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করবে।
এমআরএম/এএসএম