ধর্ম

নামাজের কাতার সোজা করার হুকুম

নামাজে কাঁধে কাঁধ ও গিঁটে গিঁট লাগিয়ে দুই জনের মাঝে ফাঁক বন্ধ করা ও কাতারগুলো প্রথম থেকে ধারাবাহিকভাবে পূর্ণ করার গুরুত্ব অপরিসীম। পূর্ব যুগের উম্মতের ইবাদাতের কাতার ছিল গোলাকার। আর উম্মাতে মুহাম্মাদির নামাজের কাতার লম্বালম্বি। এটা ইসলামের একটি শৃঙ্খলা। ইসলাম বিশৃঙ্খলা অনিয়মন্ত্রাতিকতা পছন্দ করে না। নামাজে কাতার সোজা করার মধ্যে এর বাস্তব দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে।কাতার সোজা করে নামাজে দাঁড়ানোকে অনেকে সুন্নাত, কেউ কেউ মুস্তাহাব বলেছেন। দুররে মুখতারে এসেছে, ইমামের পিছনে কাতার সোজা করে দাঁড়ানো ওয়াজিব এবং কাতার সোজা না করে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরিমি।কাতার সোজা করে নামাজে দাঁড়ানো মুস্তাহাব, সুন্নাত বা ওয়াজিব; যাই হোক না কেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাতার আঁকা-বাকা করে দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক করে দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-হজরত নোমান ইবনে বশির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সারিসমূহ সোজা করতেন এমনভাবে যেন তার সাথে তিনি তীর সোজা করছেন। তিনি এরূপ করতেন যতক্ষণ না তিনি বুঝতে পারতেন যে, আমরা বিষয়টি তার নিকট হতে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি।একদিন তিনি ঘর হতে বের হয়ে আসলেন এবং নামাজে দাঁড়ালেন, এমনকি তাকবিরে তাহরিমা বলতে উদ্যত হলেন, এমন সময় দেখলেন এক ব্যক্তি সারি হতে সম্মুখে সিনা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে; তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহর বান্দাগণ! হয় তোমরা তোমাদের সারি সোজা করে দাঁড়াবে; নতুব আল্লাহ তাআলা তোমাদের মুখমণ্ডলসমূহে পার্থক্য সৃষ্টি করে দিবেন। (মুসলিম)অন্য হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুই জনের মাঝের ফাঁক বন্ধ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন এবং এর দ্বারা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের কাতারসমূহে আকা-বাঁকা ও ফাঁক পূরণ করে দাঁড়ানোর মাধ্যমে উভয় হাদিসের নিয়ামাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস