দেশজুড়ে

শার্শায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে সেবার নামে বাণ্যিজ্য

যশোরের শার্শায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চিকিৎসার নামে চলছে রোগী হয়রানি ও অবৈধ অর্থ বাণিজ্য। অভিনব উপায়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি টাকা। অনেকে বলছে চিকিৎসার নামে এ অর্থ বাণিজ্য অনেকটা মানুষের গলা কাটার মতো।এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দৌরাত্ম দিনদিন বৃদ্ধি পেলেও এ ব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। শার্শা থানার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্র নেই। পাশাপাশি এক শ্রেণির চিকিৎসকের নামে রয়েছে কমিশনে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ।এছাড়া চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবুও এর কোনো নির্দিষ্ট সমাধান দেখছেন না ভুক্তভোগীরা। উপজেলায় এমন ছোট বড় অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে বসেছেন অনেকেই। প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে কমিশনভোগী একটি চক্র রয়েছে। এসব চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগী ও তার স্বজনেরা।অভিযোগ রয়েছে শার্শা উপজেলা সরকারি ডাক্তাররা সাধারণ ফার্মেসিতে বসে মোটা ফি’র বিনিময়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেন। রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তির জন্যও পরামর্শ দেন তারা। এরপর রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় তাদের নির্দিষ্ট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। যেখান থেকে এসব ডাক্তাররা কমিশন গ্রহণ করেন। এদিকে সুস্থ হওয়ার আশায় এসব অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। রোগী ও স্বজনদের আকৃষ্ট করতে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ঝোলানো হয় রঙ বেরঙয়ের সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন। রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফাঁদে পেলে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় হাজার হাজার টাকা। এ ফাঁদে পড়ছেন গ্রামের সব পেশাশ্রেণির মানুষ। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্থানীয় দালালদের উৎপাত।চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফাঁদে পড়ে নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রোগী বের হয়ে এলেই পড়তে হয় দালালদের খপ্পরে। কিছু বোঝে উঠার আগেই এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশনভোগী দালালদের হাতে তারা জিম্মি হয়ে যান। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ মঞ্জুরুল মোর্শেদ জানান, এমন অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। প্রশাসনিকভাবে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জানানো হয়েছে। মো. জামাল হোসেন/এএম/এমএস