জাতীয়

হুকুমের আসামি হতে পারেন খালেদা : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চলমান অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের হুকুমের আসামি করে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন এবং  এ বি তাজুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিরোধ এবং তাদের ধরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।এ বি তাজুল ইসলঅমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের মতো আবারও মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছেন। যখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, ঠিক তখনই হঠাৎ কোনো ইস্যু ছাড়াই মানুষ খুন করছে বিএনপি। বিএনপি নেত্রী তার ঘরবাড়ি ছেড়ে অফিসে বসে হুকুম দিচ্ছেন। তার হুকুমেই মানুষ পুড়ে  মারা যাচ্ছে। তাই হুকুমের আসামি হিসেবে তাকে আইনের আওতায় আনাই যুক্তিযুক্ত।সংসদ নেতা বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। হুকুমের আসামি হিসেবে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা খতিয়ে দেখবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারাই ব্যবস্থা নেবে।নাশকতা ও বোমাবাজির কাজে জড়িতরা মানুষ নয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য সরবরাহ করে জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।জনগণের জানমাল রক্ষা সরকারের পবিত্র দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বদা ততঃপর রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী নিয়োগ করে সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনের চেষ্টা চলছে। সব অপরাধী তথা জঙ্গি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারে পুলিশের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আরো প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতামূলক কাজ এবং অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের কোন সমর্থন না পেয়ে তারা আরো নাশকতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বিবেক বর্জিতভাবে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, কোথাও যাত্রীবাহী গাড়িতে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।বিএনপি-জামায়াত জোটের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ১৯৭১ সালের পাক সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে অভিযোগ করে সংসদ নেতা বলেন, তারা আগুন দিয়ে নারী, শিশুসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করছে। সম্প্রতি একজন গর্ভবতী মহিলা তাদের নাশকতার শিকার হয়েছেন, তার শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে এবং গর্ভের শিশুটিও মারা গেছে। এটা কোন রাজনীতি?প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বড় প্রশ্ন কেন খালেদা জিয়া মানুষ হত্যায় নেমেছেন? দিনমজুর, খেটে খাওয়া, ট্রেন-বাস যাত্রী সাধারণ মানুষের ওপর কেন এ আক্রমণ, তা আমার বোধগম্য নয়। উনি ঘরবাড়ি ছেড়ে অফিসে বসে হুকুম দিচ্ছেন। তার হুকুমেই এভাবেই মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।আরএস