সাতক্ষীরার অগ্নিদগ্ধ ট্রাক হেল্পার আব্দুর রহিমের ঢাকা মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। তবে সকালে মৃত্যু হলেও তার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে মৃত্যুর খবর পৌঁছায় সন্ধ্যার দিকে। এরপর থেকেই তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে দু’জনই নির্বাক হয়ে আছে। সব মিলে পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। নিহতের ভাই রমজান আলী জানান, আব্দুর রহিম ভোমরা স্থলবন্দরের একটি ট্রান্সপোর্টের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। গত ২০ জানুয়ারি সে চালবাহী একটি ট্রাকে ঢাকায় যান। পরে একই ট্রাকে বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে ফার্নিচার নিয়ে বগুড়ায় আসার পথে দুর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমায় তিনি দগ্ধ হন। সরেজমিনে দেখা যায়, আব্দুর রহিমের বৃদ্ধা মা জবেদা খাতুন বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। ফ্যাল ফ্যাল করে আকাশের দিকে চেয়ে তিনি যেন তার সন্তানকে হত্যাকারী দুর্বৃত্তদের বিচার দাবি করছেন। স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, তার দু’ছেলে-মেয়ে স্কুলে অধ্যায়নরত। ছেলে সম্রাট (১৪) ভোমরা পল্লীশ্রী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। আর মেয়ে সুমাইয়া (৯) গ্রামেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আরেক ভাই আঃ হক ঝড় প্রশ্ন রেখে বলেন, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাজনৈতিক সহিংসতার বলি আর কতদিন হবে।