জাতীয়

ছিটমহল নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র

ভারত আর বাংলাদেশের ছিটমহলের সমস্যা সাড়ে ছয় দশকের পুরনো হলেও কিছুদিন আগে পর্যন্তও এই সমস্যা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাহিত্যিক বা গবেষক বা চিত্র নির্মাতাদের কাছে ছিল অজানা।তাই ইন্টারনেটে সার্চ করলেও হাতে গোণা কিছু তথ্য পাওয়া যায়-আর সাহিত্যের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা একবারেই নগণ্য।কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরে থাকা ছিটমহলগুলোর বাসিন্দারা বলছেন তাদের গ্রামগুলোতে গত কয়েক বছরে গবেষকদের যাতায়াত অনেক গুণ বেড়ে গেছে।ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, ২০১০ সালে মাত্র একজন গবেষণার কাজে ছিটমহলে গিয়েছিলেন, কিন্তু চলতি বছরে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে।ছিটমহল আর সেখানকার রাষ্ট্রবিহীন মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে তথ্য চিত্র তৈরি করছেন দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত।তিনি বলছিলেন ছিটমহলের মতো কোনও বিষয় যে আদৌ থাকতে পারে, তা অনেককেই তিনি বিশ্বাসই করাতে পারেন নি গোঁড়ার দিকে।“বিদেশীদের কথা তো বাদই দিলাম, দিল্লি, মুম্বাই এমনকি কলকাতাতেও যখন আমার তথ্যচিত্রের প্রজেক্ট নিয়ে কথা বলতে গেছি, সবার কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকেছে যে এক দেশের মধ্যে অন্য দেশ কীভাবে থাকে! অনেকে মনে করতেন আমি হয়তো বানিয়ে গল্প বলছি,” বলছিলেন দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত। সূত্র : বিবিসিএআরএস