অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে খুচরা বিদ্যুতের দাম কম। সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা করে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে থাকে। বিদ্যুতের মূল্য সামান্য বাড়ানো হলেও তা জনগণের জন্য বোঝা হবে না। মঙ্গলবার সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ কথা বলেন। এর আগে বিকাল সাড়ে চারটায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৬ টাকা ৩৩ পয়সা এবং বিক্রি ৪টাকা ৬৭ পয়সায়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎখাতে ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সাংসদ নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার নির্ধারিত দামে বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করে থাকে। ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের কমবেশি হলেও উৎপাদন ব্যয়ে তারতম্য হয় না। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানি দাম বাড়ানোর জন্য বিইআরসিকে (বাংলাদেশ এনার্জি লেগুলেটরি কমিশন) প্রস্তাব করেছে। তাই বিদ্যুতের দাম সামান্য বাড়ানো হলে তা জনগণের জন্য বোঝা হবে না। বরং এতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ কমবে।এএইচ/আরআইপি