জাতীয়

বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী : ডেপুটি স্পিকার

শুধুমাত্র প্রচলিত আইন দিয়ে সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ দূর করা সম্ভব নয় বরং এর জন্য প্রয়োজন সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা, নারী শিক্ষার প্রসার ও দারিদ্র বিমোচন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া।জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শ সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ সমাজের জন্য অভিশাপ এবং শিশু অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শুধুমাত্র প্রচলিত আইন দিয়ে সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ দূর করা সম্ভব নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজন সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা, নারী শিক্ষার প্রসার ও দারিদ্র বিমোচন।ডেপুটি স্পিকার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে সংসদ সদস্যদের তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শমুলক কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলো সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ নিরসনে গণমাধ্যমগুলোকে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন প্রয়োজন।এ সময় পাঠ্যপুস্তকসহ সকল শিক্ষা কারিকুলামে বাল্যবিবাহের কুফলগুলো তুলে ধরার আহ্বানও জানান ডেপুটি স্পিকার।জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনএফপিএ-এর প্রতিনিধি মিস্ আর্জেন্টিনা মেটাভেল পিক্কিন। আরো বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আ.ফ.ম রুহুল হক, আব্দুল মতিন খসরু, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল প্রমুখ। হুইপ মাহাবুব আরা গিনি, মোঃ শাহাবুদ্দিনসহ সংসদ সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।আরএস/আরআই