শীত চলে গিয়ে গরম পড়তে শুরু করেছে। প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সময় দেখা দিতে পারে নানা রকম অসুখ বিসুখ। এ সময় দেহকে সুস্থ রাখতে হলে সঠিক খাদ্য গ্রহণ খুব জরুরি। গরমে খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, তাজা খাবার, ফলের রস, মাছ, সালাদ ও মৌসুমি ফল রাখা উচিত। লক্ষ্য রাখতে হবে, তরকারি ও শাকসবজিতে মসলা এবং ঝালের পরিমাণ যতটা সম্ভব কম রাখা যায়। ঝাল ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে পেটে গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়। এ ছাড়া বাসি ও বাইরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলাও আপনার জন্য ভালো হবে।লবণের কারণে ঘাম বেশি হয়। তাই লবণ একটু কম খাওয়া ভালো। বাজারে এ সময় পাওয়া যায় প্রচুর রসাল ফল। এ সময় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি মৌসুমি ফল অবশ্যই রাখবেন। ফলের শরবত বা জুসও খেতে পারেন। তবে এগুলো ঘরে তৈরি করে নিলেই ভালো। লেবুর শরবত ও ডাবের পানি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ওরস্যালাইন বা গ্লুকোজ খেতে পারেন। এগুলো দেহ ঠাণ্ডা রাখবে। গরমে ঘামের সঙ্গে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়, যার জন্য দেহ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই ঘাটতি পূরণ করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শুধু পিপাসা পেলেই পানি পান করবেন, এমনটা নয়। একটু পরপর এমনিতেই পানি পান করুন।দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয় এমন খাবারই খাওয়া প্রয়োজন। দামি খাবার খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অপেক্ষাকৃত কম দামে পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার পাওয়া যায়। প্রোটিন বা আমিষের জন্য শুধু মাছ, মাংস বা ডিম খেতে হবে এমনটি নয়। ছোট মাছ, বাদাম বা শিমের বিচির মতো সস্তা প্রোটিন উপাদানযুক্ত খাবারও দেহের জন্য উপকারী। গরমের সময় উচ্ছে খেলেও উপকার পাবেন। ভারী খাবারের চেয়ে হালকা খাবার অনেকাংশে ভালো। এতে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। টকদই দেহের জন্য ভালো। সালাদও রাখতে পারেন নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায়। শিশুদের তার স্বাভাবিক খাবারই খেতে দেবেন। খেতে না চাইলে জোর করবেন না। পুষ্টি উপাদানসম্পন্ন খাবারই খেতে দিন।সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। খেয়াল রাখবেন, পুষ্টি উপাদান যেন ঠিকঠাক থাকে। মুখরোচক খাবারের চেয়ে দেহের জন্য উপকারী এমন খাবারকেই প্রাধান্য দিন। একটু সচেতন হলে রোগবালাই আপনার কাছ থেকে দূরেই থাকবে।এইচএন/আরআইপি