ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের ওপর চাপ কমাতে রাজধানীতে আরও দুটি সরকারি হাসপাতালে চালু হয়েছে বিশেষ বার্ন ইউনিট। এসব স্থানে লোকবল সংকটসহ অন্যকিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও ৪০টি শয্যা নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।তবে, পরিস্থিতি সামলাতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।রাজধানী কিংবা বাইরের কোন স্থান থেকে প্রতিদিনই যেসব মানুষ আগুনে পুড়ছেন, তাদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট। চলমান হরতাল-অবরোধে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে এখানে ভর্তি রয়েছেন ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি রোগী। এ কারণেই আগুনে পোড়া রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানোর এ উদ্যোগ।ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের উপদেষ্টা ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, `আমাদের এখানে ৩০০ বেডের হাসপাতালে ৪৫০ জন রোগী থাকে।`৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মুগদা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশাপাশি ইনডোরে নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে ২০টি শয্যা নিয়ে। কর্তৃপক্ষ জানান, যাতায়াতসহ অন্যান্য সুবিধার নিচতলায় নতুন একটি ওয়ার্ডকে প্রস্তুত করেছেন তারা। এখানে ৮ জন চিকিৎসক, ৩৮ জন নার্সসহ অন্যান্য লোকবল ঠিক করে ইতোমধ্যে দায়িত্বও বণ্টন করেছেন তারা।মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, `ডিপ বার্ন নয় অর্থাৎ ১০ ভাগের নিচের বার্নগুলোর চিকিৎসা আমরা দিতে পারবো বলে আশা করি।`অন্যদিকে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও শুক্রবার থেকে প্রস্তুত রয়েছে বিশেষ বার্ন ইউনিট। কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাথমিকভাবে অন্যান্য সেবা দেয়ার পাশাপাশি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়েও দগ্ধ রোগী পরিবহনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবেন তারা।কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রি.জে, মো. সাইদুর রহমান বলেন, `ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার পর ফলো-আপে থাকা রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।` আর, এসব কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট।এআরএস/এমএস