শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু ভারত বিভিন্নভাবে বন্ধুত্ব অব্যাহত রেখেছে। আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করছে, তাদের যেন সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা যায়, সেই বিষয়টিও ভারত সরকারের দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। আমির হোসেন আমু বলেন, আগে আওয়ামী লীগকে ভারতের দালাল বলে আখ্যায়িত করা হতো। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই ভারতের দালাল নই। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক শক্তি হিসেবে সেই দিন ভারত এগিয়ে এসেছিল। সেদিন ভারতের মানুষ নিজেদের খাবার এক কোটি বাংলাদেশিকে খাইয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ১৩ হাজার সৈনিক জীবন দিয়েছিল। সেই থেকেই তাদের সাথে বন্ধুত্ব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও যখন খাদ্য গুদামে খাদ্য ছিলনা, তখন ভারত দুই লক্ষ টন খাদ্য দিয়ে সাহায্য করেছিল। তারা প্রাথমিকভাবে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বেইলি ব্রিজসহ বড় বড় ব্রিজ নির্মাণ করে যোগযোগ ব্যবস্থা সচল করেছিল।শনিবার বিকেল ৫টায় বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে মুক্তিযোদ্ধাদের মেধাবী সন্তানদের ভারত সরকারের দেয়া বৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আজ যখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে যখন একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করেছে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে, জাতিসংঘের ছয়টি সূচকের মধ্যে সবগুলোকে এগিয়ে নিয়েছে- ঠিক সেই মুহূর্তে পাকিস্তানের মতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র, হীন চক্রান্ত এবং সে দিনের মতো গণহত্যা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দেবদাস সমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তানি শক্তি বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য গণহত্যা চালাচ্ছে। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি যারা এই দেশকে বিপন্ন করতে চায়, এই দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, যারা এই দেশকে আবার পাকিস্তানের সাথে অঙ্গীভূত করতে চায় তাদের প্রতিহত করার দায়িত্ব নিতে হবে নতুন প্রজন্মকে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি (তথ্য, ইনফরমেশন ও সাংস্কতিক) সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ কুতুবউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের দেয়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৭ জনকে ১০ হাজার করে ১ লাখ ৭০ হাজার এবং স্নাতক পর্যায়ের ৪৩ জনকে ২৪ হাজার করে ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী। বিএ/পিআর