দেশজুড়ে

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

মাগুরায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেনশনভোগীদের কাছ থেকে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার জুনিয়র কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কভাতাসহ পেনশনভোগীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত তিনি ঘুষের টাকা আদায় করে থাকেন।ঘুষের টাকা অথবা পান-বিড়ি না দিলে পেনশনভোগীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল সহ্য করতে হয়। অন্যথায় এ কর্মকর্তা সিরিয়াল ব্রেকসহ খারাপ আচরণ করে থাকেন বলেও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক মুক্তিযোদ্ধা জাগো নিউজকে জানান, পান-বিড়ির পয়সা না দিলে ব্যাংক কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান সিরিয়াল পেছনে দেন। এতে তাদের চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। কে? মুক্তিযোদ্ধা আর কেবা? পেনশনভোগী তা দেখার সময় তার (মশিয়ার রহমান) নেই। দেশের জন্য যারা জীবনবাজি রেখেছিলেন আজ তাদের এই পরিণতি দেখতে হচ্ছে বলে ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন যুদ্ধাহত এক মুক্তিযোদ্ধা।পেনশন নিতে আসা অপর এক পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী জাগো নিউজকে জানান, ঘুষের টাকা না দিলে মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণসহ অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন মশিয়ার রহমান। এরই মধ্যে তিনি ব্যাংকের ম্যানেজারকে বিষয়টি একাধিকবার মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। তবুও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।রোববার অফিস চলাকালে অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিন ঘুরে দেখতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান জাগো নিউজের প্রতিনিধির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ‘যা পারেন করেন, আমার কেউ কিছু করতে পারবে না’ -বলে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের মাগুরা প্রধান শাখার ম্যানেজার মো. আব্দুর রাজ্জাককে জানালে তিনি বলেন, কাস্টমাররা বিনা কারণে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন। এতে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে। মাগুরায় জেলা প্রশাসনের একান্ত উদ্যোগে যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি পেনশনভোগীদের জন্য দেশের প্রথম বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। সেই জেলায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তার দুর্নীতিতে সব সুনাম নষ্ট হতে বসেছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কভাতাসহ পেনশনভোগীদের অসুবিধা দিন দিন চরমে উঠছে।আরাফাত হোসেন/এআরএ/আরআইপি