বাংলায় কেদারা বললে অনেকেই চিনতে পারবেন না তবে চেয়ার বললে সবাই বুঝতে পারবেন। ইংরেজি শব্দ হলেও চেয়ারই আসন গেড়ে বসেছে আমাদের মাঝে। বাসে, ট্রেনে, অফিসে, বাসায় আপনি বসতে গেলে যাকে সবার আগে খুঁজবেন তা হচ্ছে চেয়ার। চেয়ার বা কেদারা মূলত তৈরি হয় কাঠ, ধাতু ইত্যাদি দিয়ে। তবে যুগের সাথে সাথে চেয়ারেও এসেছে বৈচিত্র্য। চেয়ারের পা কাঠের হলেও দেখা যায় বসার জায়গাটি এবং হেলান দেওয়ার জায়গাটি হয়ে থাকে প্লাস্টিকের। চেয়ারের মাঝেও আছে নানা ধরন। টুল, সোফা, বেঞ্চ, চৌকি ইত্যাদি এই চেয়ার থেকে আসাই সময়ের সাথে পাল্টে যাওয়া নতুনত্ব। তবে যা দিয়েই তৈরি হোক, চেয়ার ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য আরামে বসে কাজ করা। আপনি যদি আরামে বসে কাজ করতে না পারেন তাহলে কাজ তো খারাপ হবেই সাথেসাথে কাজে মনোযোগ আসবে না। কাজের ক্ষেত্র ভেদে চেয়ারেও আছে নানা ভাগ। অফিসে যে চেয়ার ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চয়ই খাবার টেবিলে ব্যবহার করা হবে না। আবার দেখা যায় যারা রাত জেগে কম্পিউটারে কাজ করেন তাদের জন্য লাগে বিশেষ ধরনের চেয়ার। তবে আপনি কখন কোন চেয়ারে কাজ কিংবা বসে আরাম পাচ্ছেন তা জানা জরুরি। তাই চলুন জেনে নেই কোথায় কেমন চেয়ার দরকার।রিভলিং চেয়ার :একটা সময় ছিলো যখন অফিস আদালতে কেবলই চোখে পড়তো কাঠের চেয়ার। তবে মানুষর যেমন ব্যস্ততা বেড়েছে তেমনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু আরাম করার প্রবণতাও বেড়েছে। আর অফিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো চেয়ার হচ্ছে রিভলভিং চেয়ার। হেলান দিয়ে আরামে কাজ করতে এই চেয়ারের জুড়ি নেই। লো লেভেল সুইভেল চেয়ার :অফিসে এই চেয়ার ব্যবহার করা হয়। কোথাও কোথাও এই চেয়ারকে বলা হয় টাস্ক চেয়ার। শক্ত ও দীর্ঘমেয়াদী প্লাস্টিক ম্যাটারিয়াল দিয়ে তৈরি এই চেয়ার বেশ আরামদায়াক। এই চেয়ারগুলো অফিসে ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী। একজিকিউটিভ সুইভেল চেয়ার :এই চেয়ারের মূল্য কিছুটা বেশি। এতে রয়েছে স্মুথ রোটেটিং এবং রোলিং মেশিন। এটি অফিসে যেমন আরামদায়ক তেমনি বাসায়ও পড়ার টেবিলে এটি ব্যবহার করা যায়। এটি বাসায় কম্পিউটারে কাজ করতে কিংবা পড়ার টেবিলে পড়ার জন্য রাখতে পারেন। ক্রিয়েটিভ সুইভেল চেয়ার :এই চেয়ার বিভিন্ন মেটারিয়াল দিয়ে তৈরি। এটি বেশ আরামদায়ক এবং এটির কারুকাজ বেশ রাজকীয় স্টাইলে।কম্পিউটারের ক্ষেত্রে :পিঠ সোজা রেখে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে কাজ করা উচিৎ। যাতে পিঠ ব্যথা না হয় এবং মেরুদন্ডে কোনো সমস্যা না হয়। এই ক্ষেত্রে আপনাকে পছন্দ করা উচিৎ ফ্লেক্সিবল চেয়ার। যাতে হেলান দিয়ে ১৩৫ ডিগ্রি এঙ্গেলে বসা যায়। এইচএন/এমএস