আন্তর্জাতিক

ইরাকে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন গুঁড়িয়ে দিচ্ছে আইএস

ইরাকের প্রাচীন নগর নিমরুদের অ্যাসিরীয় সভ্যতার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন সব গুঁড়িয়ে দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বৃহস্পতিবার থেকে ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরু করেছে তারা। শুক্রবার এএফপির এক খবরে জানানো হয়, ওই জঙ্গি সংগঠন তাদের সাম্প্রতিক হামলায় ইরাকের ঐতিহাসিক নিদর্শন বেছে নিয়েছে।পর্যটন ও পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে লেখা হয়, আইএস নিমরুদ শহরে ভারী যান দিয়ে অ্যাসিরীয় সভ্যতার নিদর্শন সব গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।ইরাকের পুরাকীর্তিবিষয়ক এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নামাজের পর থেকে এ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কিছু ট্রাক সম্ভবত শৈল্পিক কোনো নিদর্শন সরিয়ে নিয়ে যায়।ইরাকের মসুল শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত নিমরুদ শহরটি খ্রিষ্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দীতে দজলা নদীর তীরে গড়ে ওঠে। মসুল এখন আইএসের প্রধান ঘাঁটি। প্রাচীন কালে ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্কের অংশ নিয়ে ছিল অ্যাসিরীয় সভ্যতার বিস্তার।স্টোনি ব্রোক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ আবদুলামির হামদানি বলেন, আমার বলতে খুবই খারাপ লাগছে যে সবাই এটাই আশঙ্কা করছে। তাদের (আইএস) পরিকল্পনা একাধারে ইরাকের সব ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করে দেওয়া।একটি সূত্র জানিয়েছে, সপ্তাহ খানেক আগে আইএস সদস্যরা মসুলবাসীকে হুঁশিয়ার করেছিল যে, তারা নিমরুদে মূর্তি ধ্বংসে অভিযান চালাবে। প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা দ্বিতীয় আশুর্নাসির্পাল। তিনি ইরাক, লেভান্ত, নিম্ন মিসর ও তুরস্কের কিছু অংশ নিয়ে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। খ্রীষ্টপূর্ব ৮৮৩ থেকে ৮৫৯ সাল পর্যন্ত শাসন করেন তিনি।ব্যাবিলনীয় সভ্যতার অন্যতম নির্দশন নিমরুদে (ব্যাবিলনীয় ভাষায় কালাহ) ৭ হাজার বছর আগে লোকের বসবাস শুরু হয়। শহরটিতে প্রায় ৬০ হাজার লোকের বসবাস ছিল। ২০০২ সালে ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ড নিমরুদকে বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন ঐতিহাসিক স্থানের তালিকাভুক্ত করে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত প্রাচীন হাত্রা শহরটিও বিপদের মুখে রয়েছে।এএইচ/পিআর