বিরোধী দলকে দেশ ও মানুষের স্বার্থে হরতাল-অবরোধের বিকল্প কিছু ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতাধীন মাওনা ওভারব্রীজ নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, সড়ক ও জনপথের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব আহমেদ খান, ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শাহাবুদ্দি খান, সেনাবাহিনীর প্রকৌশলী কোরের মেজর তামিম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান, মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি সানোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে এখন আন্দোলনের নামে যা চলছে, সেট হলো পেট্রলবোমা মেরে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তিকেই দ্বগ্ধ করা। হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিটা বুঝা যায়, পরিমাপ করা যায়। কিন্তু হরতাল অবরোধে পেট্রলবোমা মেরে মানুষের প্রাণ নেয়াটা মেনে নেয়া যায় না। এভাবে তো বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ওপর পেট্রলবোমা মারা হচ্ছে। এমন রাজনীতি আত্মঘাতি, সর্বনাশা। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দেশ ও মানুষের স্বার্থেই বিকল্প কিছু আমাদের ভাবতে হবে।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা হরতাল-অবরোধ ডাকেন তারাই মানেন না। জনগণ কি করে মানবে? যারা হরতাল ডাকে, তাদের মালিকানা সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তিগত ও দূরপাল্লার গাড়ি কিন্তু চলছে। এখন হরতাল-অবরোধের চেহারা পাল্টে গেছে। হরতালে কোথাও দোকান-পাট বন্ধ নেই, যানবাহন চলাচলতো একেবারেই স্বাভাবিক। মহসড়কেও নিয়মিত যানজট হচ্ছে।’বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার মামলা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আইন সবার জন্য একই রকম। মামলা এগিয়ে চলছে আইনী প্রক্রিয়ায়। সেই আইনী প্রক্রিয়া তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। যে বিষয়গুলো আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, সেগুলো আইনের গতিতেই নিষ্পত্তি হবে। এ ব্যাপারে ভিন্ন কোন মন্তব্য রাখার অবকাশ নেই।’তিনি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, আগামী জুন মাসে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে মহাড়কের ওপর নির্মাণাধীন মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে। জয়দেবপুর থেকে ভালুকা পর্যন্ত সেনাবাহিনী চারলেনের যে কাজটি করছে তা মে মাসে শেষ হবে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছে। আর পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে জুনের মধ্যে। এলএ/পিআর