জাতীয়

রিজভী আহমেদের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার পর জয়ের প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তখন পর্যন্ত বিচারাধীন রিজভী আহমেদ নামের একজন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে এফবিআই-এর এক সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার পর নিজের ফেসবুক পেইজে এ সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। স্ট্যাটাসে বিরোধীদলের রাজনীতি, গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজের সমালোচনা করেন জয়।নিচে সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু দেওয়া হলো- “৪ মার্চ, বুধবার আমি মার্কিন আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে একটি বক্তব্য পেশ করেছি, যে আদালতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের পুত্র রিজভী আহমেদ সিজারের সাজা ঘোষণা করা হয়। বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব সিজারকে মাসে ৪০,০০০ মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথম দফায় ৩০,০০০ মার্কিন ডলার ক্যাশ প্রদান করে। তদন্ত চলছে তাই আমি তাদের নাম প্রকাশ করতে পারছি না। বিএনপি আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা করেছিলো। আবারও বলছি, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের আচরণ হতে পারে না। এগুলো জঙ্গিদের আচরণ। যে দল নিরীহ মানুষ ও শিশুকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারে, তাদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়? লক্ষ্য করে দেখুন, যেসব পত্রিকা ও "সুশীল সমাজ" আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলতে কখনো পিছপা হয় না, তারা এ বিষয়ে একেবারে নিশ্চুপ। বিএনপি অপহরণ ও হত্যা করতে পারে, তারপরও তারা কখনোই বিএনপিকে সরাসরি দায়ী করে কিছু বলবে না। তারা সবসময় দুই দলকে দোষী করবে। আমাকে হত্যা করার জন্য বিএনপির এই প্রচেষ্টার সপক্ষে তারা কোন যুক্তি তুলি ধরবে এখন? এই একই "সুশীল সমাজ" দাবি করে যে ব্যক্তিগত রেষারেষির জের ধরেই নাকি বিএনপি নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারে। আমাকে যখন কেউ হত্যার চেষ্টা করছে, সেটিও তখন আমি খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসেবে নিচ্ছি। যারা এর জন্য দায়ী, তারা বিএনপির যতো উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বই হোক না কেন, আমি তাদের হদিশ বের করে বিচারের মুখোমুখি করবো”। উল্লেখ্য, এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেয়ার অপরাধে বিএনপি ও জাসাস কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদউল্লাহ মামুন-এর ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারকে ৪২ মাসের (সাড়ে ৩ বছর ) কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আদালত। এছাড়া তার সহযোগী জোহানেস থালেরকে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের গোপন তথ্য’ সংগ্রহের জন্য এফবিআইকে ঘুষ দেয় সিজার। আর এ অপরাধে তাকে ৪২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আদালত। বুধবার নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেনে মার্কিন ফেডারেল আদালতের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ভিনসেন্ট এল ব্রিসেট্টি এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, সিজার স্বীকার করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ এক রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যকে অপহরণ করে তথ্য বের করার পরিকল্পনা ছিল তার। আগামী ৩০ এপ্রিল ৩৬ বছর বয়সী সিজারকে কারাগারে নেয়া হবে। রায় ঘোষণায় আদালত উল্লেখ করেন, সিজার মার্কিন সরকারের মূল্যবোধ অবমূল্যায়ন করেছে এবং এফবিআইকে গ্লানিতে ম্লান করার চেষ্টা করেছে।এসআরজে