ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ‘মুক্তমনা’ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সংগৃহিত আলামত পরীক্ষার জন্য আমেরিকায় পাঠানো হবে।সোমবার রাজধানীর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, অভিজিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন ফারাবীর অনেক ফেসবুক বন্ধু রয়েছে। তারা অনেকে ফারাবীকে গুরু মনে করে। তবে তাদের অধিকাংশের সঙ্গে ফারাবীর সাক্ষাৎ হয়নি।ফারাবীর বন্ধুদের মধ্যে আবার অধিকাংশই ছাত্র। তাদের মধ্যে যাদের কথোপকথন সন্দেহজনক তাদের ধরতে এফবিআইয়েরর সহায়তা নেয়া হবে।মনিরুল ইসলাম বলেন, ফারাবী স্বীকার করেছে অভিজিতকে হত্যার জন্য তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। সুযোগ পেলে হয়তো নিজেই খুন করতেন। তবে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফারাবী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন কিনা বা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত না। ফারাবীর হুমকির আড়ালে অন্য কেউ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে।ফারাবীকে আটকের পর ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে আবার বলছেন অন্য কেউ খুন করতে পারে, তাহলে ব্যাপারটি কি দাঁড়াচ্ছে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ফারাবীর জিজ্ঞাসাবাদ এখনো শেষ হয়নি। তাছাড়া তদন্তের স্বার্থে অনেক তথ্য প্রকাশ করা ঠিক হবে না।ডিবি পুলিশের তদন্তে এফবিআই সন্তুষ্ট উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, এফবিআইয়ের সাথে আমাদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। তথ্যের আদান প্রদান হয়েছে। খুনিদের ধরতে এফবিআেয়ের কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে।অভিজিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য আমেরিকায় ল্যাবে পাঠানো হবে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই তা আমেরিকায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।জেইউ/বিএ/আরআইপি