আফগানিস্তানে আত্মগোপনে থাকাকালে আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের কিছু দুর্লভ ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি। ম্যানহাটেন ফেডারেল কোর্টের এক সন্ত্রাস মামলায় এই ছবিগুলো উপস্থাপন করা হয় প্রমাণ হিসেবে। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলারও অনেক আগে তোলা এই ছবিগুলো। আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড়ি এলাকার ওসামার গোপন আবাসস্থলের ভেতর এবং বাইরের সব ছবি রয়েছে এখানে।১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনের প্রিন্ট মিডিয়ার এক ফটো সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিন লাদেনের সমর্থক লেফটেন্যান্ট খালেদ আল-ফাওয়াজের। সেই ফটো সাংবাদিক তুলেছিলেন এই ছবিগুলো।তোরাবারা পাহাড়ি এলাকায় কালাশনিকভ রাইফেল হাতে ওসামা বিন লাদেন১৯৯৮ সালে তোলা হয় এই ছবিটিজালালাবাদ থেকে তোরাবোরা যাওয়ার দুর্গম পাহাড়ি পথের একাংশগোপন আবাসস্থলের ভেতরে১৯৯৬ সালে জালালাবাদ শহরে আবাস গড়েন বিন লাদেন। ওখান থেকে তোরাবোরার গোপন আবাসস্থল দীর্ঘ পথ- যেতে হয় দুর্গম পাহাড়ি পথ দিয়েঘরের দরজায় পাহাড়া দিচ্ছে এক তরুণবিন লাদেনের গোপন আবাসের বাইরের দৃশ্যতোরাবোরার আবাস থেকে বের হওয়ার গোপন পথবিন লাদেনের দুই বেডরুমবিশিষ্ট আবাসতোরাবোরার সব সময়ই ক্ষুধা ছিল বিন লাদেনের সঙ্গী। তার সন্তানদের অধিকাংশ সময় ভাত, রুটি, ডিম আর নোনতা পনির খেয়ে থাকতেহয়েছেতোরাবোরায় জীবনযাপন প্রাচীন ধরণের। রাতে চাঁদের আলো আর তেলের লণ্ঠনই ভরসাচলার পথে হাস্যরত বিন লাদেনফটো সাংবাদিক আবদেল বারি জানান, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন বিন লাদেনপরিবারের সদস্য ছাড়াও অনেক আল কায়েদা যোদ্ধাও থাকতেন বিন লাদেনের সঙ্গেবিন লাদেনের সঙ্গে সিরিয় বংশোদ্ভুত আবু মুসাব আল-সুরী ও ব্রিটিশ ডকুমেন্টারি নির্মাতা গুয়েইন রবার্টসতোরাবোরা এলাকায় ২০০১ সালের যুদ্ধে দুই শতাধিক আল-কায়েদা যোদ্ধা নিহত হয়। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বিন লাদেন আর আইমান আল-জাওয়াহিরিপাহাড়ের পাদদেশে একাকি ঘুরছেন বিন লাদেনএআরএস/আরআইপি
Advertisement