মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ইউনিগেট ওয়ে টু ইউ ট্রেনিং প্রাইভেট লিমিটেডের জব্দ করা ১০টি অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। দুদকের করা এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে ইউনিগেট ওয়ের পক্ষে ছিলেন সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।ইউনিগেট ওয়ের বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৭০ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৪ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুশফিকুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফজল আবদুর রহমানকে আসামি করা হয়।মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দুটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (ইসলামী ব্যাংকিং শাখা) গুলশান শাখায় কোম্পানির ওই দুটি অ্যাকাউন্ট দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১। এরপর দুদকের আবেদনে ওই কোম্পানির আরও ১০টি অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন একই আদালত।আদেশের বিরুদ্ধে একই আদালতে ইউনিগেট ওয়ে আবেদন করে। আবেদনে মামলায় সংশ্লিষ্ট নয় এমন ১০টি অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির ওই আবেদনের পেরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ ১০টি অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন।অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে বিশেষ জজ আদালতের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে দুদক হাইকোর্টে আবেদন করে। সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। একই বছরের ১৪ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এক নির্দেশে নিম্ন আদালতের আদেশের কার্যকারিতার উপর স্থগিতাদেশ দেন।একইসঙ্গে দুদকের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি শেষে দুদকের সেই আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে বিশেষ জজ আদালতকে ওই ১০টি অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন।এফএইচ/বিএ/পিআর