দেশজুড়ে

নড়াইলে অমল সেন স্মরণ মেলা শুরু

উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ, তেভাগা আন্দোলনের নেতা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলের সীমান্তবর্তী বাকড়ীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী অমল সেন স্মরণ মেলা।মঙ্গলবার বিকেলে ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র আয়োজনে কমরেড অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পলিটব্যুরোর সদস্য আনিছুর রহমান মল্লিক কমরেড। কমরেড অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুারো সদস্য কমরেড ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, নড়াইল-২ আসনের এমপি কমরেড অ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান, বরিশাল-৩ আসনের এমপি টিপু সুলতান, কমরেড বিমল বিশ্বাস, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির নড়াইল জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।দুই দিনব্যাপী মেলার অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে রয়েছে, নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কৃষক সমাবেশ, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।কমরেড অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ জুলাই আউড়িয়ার প্রখ্যাত রায় পরিবারে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারের সন্তান। নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বৃটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ‘অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে জড়ান তিনি।সারাজীবন নিজেকে এ সংগ্রামে নিয়োজিত রাখেন। পাকিস্তান শাসনামলের ২৪ বছরের মধ্যে ১৯ বছরই তাকে কারান্তরালে কাটাতে হয়। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ মুক্তিকামী জনতা তাকে যশোর কারাগার ভেঙে মুক্ত করে।২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে অকৃতদার এই বিপ্লবী নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে নড়াইলের সীমান্তবর্তী বাকড়ীতে সমাহিত করা হয়।হাফিজুল নিলু/এএম/আরআইপি