জাতীয়

লোকসানের মুখে ইজতেমার ব্যবসায়ীরা

বিগত বছরগুলোতে বিশ্ব ইজতেমার সময় টঙ্গীর তুরাগ তীরের মার্কেটে ব্যবসা করে লাভের মুখ দেখলেও এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এবার লোক সমাগম কম হওয়ায় বিক্রিবাট্টা কম হচ্ছে। তাছাড়া দোকান ও বিট ভাড়া হিসেবে নেয়া হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। এর বাইরে আলাদা করে নেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলও। যে কারণে লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন কিংবা পাঁচ দিনব্যাপী মাহফিল ও ইজতেমায় ছোটবড় খণ্ডকালীন দোকান তুলে ব্যবসা করেন অনেক ব্যবসায়ী। বিশেষ করে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা বেড়ে যায়।ইজতেমার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার তুরাগ তীরে কমপক্ষে ৪০০টি দোকান বসেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখানে গড়ে তুলেছেন মার্কেট। রাস্তার দুই ধারে দোকান, মাঝ পথ দিয়ে ইজতেমা ময়দানে যাওয়ার রাস্তা।ইজতেমার আগেই ব্যবসায়িক জায়গা বিবেচনায় দোকান ও বিট ভাড়া দিয়েছে স্থানীয়রা। ছোট বিটের ভাড়া কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। বড় বিটের ভাড়া সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা। এর বাইরে আলাদা করে নেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলও। গতবারের তুলনায় এবার বিট ভাড়া বেশি নেয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।ইজতেমা উপলক্ষে এবার তোষক, বালিশ, লেপ-কাঁথা, কম্বল, তসবিহ, আতর, সুরমা, কাগজ, পলিথিন, ফলমূল, খাবারের দোকান, খেজুর, ব্লেজার, শীতের পোশাকসহ অসংখ্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান বসেছে।তসবিহ-আতরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইসমাঈল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার মনডা ভালা নাই রে বাই। ব্যবসা লাটে উঠছে। ছোট দোকানে বিট ভাড়া দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। ১৩ হাজার টাকা ইতোমধ্যে শোধ করছি। আরও ৩ হাজার টাকা নিয়া গেছে বিদ্যুৎ বিলের কথা বলে। লাভ তো নেই উল্টো লোকসান গুনতে হবে এবার।’মঞ্জুরুল ইসলাম নামে অপর এক খেজুর ও মাদুর-পাটি ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছয়দিনের জন্য ৩৬ হাজার টাকায় দোকান ভাড়া নিছি। বেচাকেনা হয়েছে লাখ টাকার মতো। আগামীকাল শেষ দিন। আয়-ব্যয় হিসাব করলে লোকসান না হলেও লাভ থাকবে না।’মূল সড়কের পাশের দোকানগুলোর ভাড়া আরও বেশি। ‘মায়ের দোয়া হোটেল’ মালিক মো. কালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘২য় পর্বের ৬ দিনের জন্য দোকান ভাড়া নিছি। ১ লাখ টাকা দেয়ার শর্তেই ভাড়া পেয়েছি। লাভের আশায় এখানে খাবার হোটেল খুলে বসে নিজের পুঁজিও বুঝি থাকে না।’তিনি বলেন, এবার ইজতেমায় বিশেষ আকর্ষণ নেই। মানুষের উপস্থিতিও গতবারের চেয়ে কম। তাই বিক্রিও বেশি নেই।জেইউ/ওআর/আরআইপি