দেশজুড়ে

১২ বছরেও অপসারিত হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউপির সুবিধাবঞ্চিত মোহাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনটি দীর্ঘ একযুগেও (১২ বছর) অপসারণ হয়নি। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় পড় পড় অবস্থায় রয়েছে বিদ্যালয়টি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বার বার তাগাদা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এতে করে যে কোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।সরেজমিন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, জরাজীর্ণ স্কুল ভবন। ২০০৫ সালে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ সময় পার হলেও কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। ২০১৫ সালে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ঝুকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণের জন্য কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন দেয়া হয়। কিন্তু অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি আজও। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান।মোহাইল গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সাগর আহম্মেদের বাবা মুরশিদুল ইসলাম, একই গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী উম্মে হাফসার বাবা শফিকুল ইসলাম, উৎরাইল গ্রামের ২য় শ্রেণির ছাত্র জাহিদুল ইসলামের বাবা জাকিরুল ইসলামসহ অনেক অভিভাবক বলেন, ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর পর উৎকন্ঠার মধ্যে থাকি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চলে। কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না।  এসব বিষয়ে মোহাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসপিয়া বেগম জানান, তিনি বিদ্যালয়টিতে ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর থেকে তিনি মৌখিক ও লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বারবার বিষয়গুলো নিয়ে তাগাদা দিয়েও কোনো ফল পাননি। একই বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে অভিভাবক সমাবেশে জেলা থেকে জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত হয়েছেন। তাকে বিষয়গুলো সর্ম্পকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে তারা আবারও সকল বিষয়ে নতুন করে আবেদন দেবেন বলে জানিয়েছেন।কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবু যতন কুমার দেবনাথ জানান, তিনি ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাই ২০১৫ সালের আবেদনের বিষয়টি তার জানা নেই। নতুন করে আবেদন পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, চলতি বছরই ঝুকিপূর্ণ পুরাতন ভবন অপসারণের ব্যবস্থা, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, খেলাধুলার মাঠ সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা হবে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুজ্জেহা বলেন, ঝুকিপূর্ণ ভবন অপসারণে যথাযথ নিয়মবালী অনুসরণের পর নিলামে দেয়ার কথা বলা আছে। তবে মোহাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ পুরাতন ভবন অপসারণের ক্ষেত্রে এসব করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। রাশেদুজ্জামান/এএম/আরআইপি