সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য এবং নিরাপত্তায় রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন সদা আন্তরিক উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, দেশের সামজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখছে। রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন পর্যটন অঞ্চল কক্সবাজারের উন্নয়নে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। পাশাপাশি দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে সেনাবাহিনীর এই ডিভিশন। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রামুর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদর দফতরসহ ৭টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।এ সময় তিনি সংবিধান এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, দুই বছর আগে আজকের মতো একটি সকালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তখন এখানে পাহাড়, জঙ্গল আর বনভূমি ছিল। গত দুইবছরে সরকারের সদিচ্ছায় নবগঠিত গ্যারিসন নয়নাভিরাম সবুজ শ্যামল রূপ নিয়েছে। সুদূর প্রসারী পরিকল্পনায় প্রাকৃতিক শোভা নষ্ট না করে পরিবেশবান্ধব সেনা নিবাসের উদহারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন।সেনাপ্রধান বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান তাকে অভ্যর্থনা জানান। পতাকা উত্তোলন শেষে রামু সেনানিবাসের নির্মাণাধীন স্মৃতির ধারক ‘শেকড়’ নামে দশ দিগন্ত যাদুঘরসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান। রামু সেনানিবাসের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য ও স্বল্প সময়ের মধ্যে সার্বিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর