দেশব্যাপী ক্ষুদে ডাক্তারদের দিয়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে আজ। ২০০৮ সাল থেকে চালু হওয়া এ কৃমি সপ্তাহের ১৪তম রাউন্ড আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এ সপ্তাহে সব শিশুকে ভরাপেটে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী সব (স্কুলগামী, স্কুল বহির্ভূত এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়া) শিশুকে একডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনামূল্যে সেবন করানো হবে। এ বছর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ। গত বছর ২ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়।মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন (নিপসম) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কৃমি সপ্তাহ উদযাপন নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) প্রফেসর ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ সামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মো. শাহনেওয়াজ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিপসম পরিচালক ডা. আক্তারুন্নাহার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপ-পরিচালক ডা. এএসএম আবদুস সাত্তার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কৃমি সপ্তাহে এক লাখ ছয় হাজার ৩৪টি স্কুলে এ কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ডাক্তারদের দিয়ে পরিচালিত এ কার্যক্রমে ৬৪ জেলার ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী সব শিশুকে রাখা হচ্ছে। এ সপ্তাহ উদযাপনে ২ কোটি ৭০ লাখ শিশুর জন্য ওষুধ সংরক্ষণ করা হয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের মধ্যে কৃমি আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। কৃমি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় শিশুদের শারীরিক ও মানসকি বৃদ্ধি ব্যহত হয় এবং শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। পাশাপাশি শিশুর শিক্ষা ক্ষমতা হ্রাস পায় ও শ্রেণী কক্ষে সক্রিয় থাকতে বাধার সৃষ্টি করে। কৃমি হলে মানুষের বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।বিএ/এমএস