দেশজুড়ে

২ যুগেও কাঙ্খিত শিল্পায়ন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে

দুই যুগেও কাঙ্খিত শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীতে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে শিল্পায়ন প্রসারে সরকারের যে লক্ষ্য ছিল, তা আজও পূরণ হয়নি।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে ঠাকুরগাঁও শহরের পশ্চিমে দুরামারিতে ১৫ একর জমি নিয়ে ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীর যাত্রা শুরু। অথচ আজও জলাবদ্ধতা, জনবল, বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তার অভাবসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এটি।ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীতে ৫১টি শিল্প ইউনিটে ১০৪টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ দেওয়া ৫১টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৩৮টি ইতিমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে। চালুর অপেক্ষায় আরো ১৩ ইউনিট।শিল্পমালিকরা জানিয়েছেন, কঠিন শর্তের কারণে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিতে পারেন না। অথচ কুটির শিল্পের উন্নয়নে সরকার ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে উৎসাহ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু তারপরও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করে। এ কারণে বাধ্য হয়েই বেশি সুদে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে তাদের। সুদ বেশি হবার কারণে স্বাভাবিকভাবে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই শিল্পায়নের প্রসারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে সহজ শর্তে ঋণের দাবি জানিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।বিসিকে কোনো সীমানাপ্রাচীর নেই। নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব। বর্ষায় পানি নিষ্কাশনেও নেই ড্রেনেজ সিস্টেম। বর্ষাকালে সামান্য পানিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় এখানে। এতে পণ্য আনা নেওয়াসহ চলাচলে সমস্যা হয়। ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় বর্ষায় বিসিক নগরী তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে কখনো কখনো।প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ না থাকা, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে চালু ইউনিটগুলোয়ও। প্রয়োজনীয় পানিও কখনো কখনো দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠে এখানে। যা স্বাভাবিক উৎপাদনে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করে।বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান বলেন, শিল্পনগরীর জন্য ৫০০ কেভির ট্রান্সফরমার দরকার। বর্তমানে ২৫০ কেভির ট্রান্সফরমার চালু আছে। ২৫০ কেভির আরেকটি ট্রান্সফরমার প্রয়োজন।ঠাকুরগাঁও চেম্বারের সভাপতি ও রাজ্জাক ফুড প্রোডাক্ট-এর মালিক হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, প্রধান ড্রেন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধান করা দরকার। সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিল্পমালিকদেরকে নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। অথচ এটা বড় কোনো কাজ নয় কর্তৃপক্ষের কাছে।বিসিকের উপব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার উন্নয়নে বিসিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই আশা করছি, কর্তৃপক্ষ বিসিক এলাকার সমস্যাগুলো সমাধানে আন্তরিক হবে। এসএইচএ/এমএস