পিরোজপুরের কাউখালীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে গাভির মৃত্যুর ঘটনায় ওই গাভির দুধ পানকারী কলেজশিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে এখন জলাতঙ্ক আক্রান্তের ভীতি কাজ করছে।দুধ পানে আতঙ্কগ্রস্ত সবাই উপজেলা সদরের কাউখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সদস্য, শিক্ষক ও কর্মচারী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।কাউখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (আয়া) রোকসানা বেগম ডালিমের একটি গাভি গত ২০ দিন আগে বাছুর প্রসব করে। এরপর ওই গাভিকে পাগলা কুকুর কামড় দিয়ে আহত করে। কুকুরে কামড়ানো গাভির দুধ গত ৪ ফেব্রুয়ারি কলেজে নিয়ে আসেন তিনি। নতুন গাভির দুধ ওই কলেজের ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মুড়ি দিয়ে আপ্যায়ন করান আয়া রোকসানা। গাভিটিকে পাগলা কুকুরে কামড় দিয়ে আহত করার বিষয়টি তারা জানতেন না। ঘটনার পাঁচ দিন পরে ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে আক্রান্ত গাভিটি মারা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে জলাংতক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক দেখা দেয়। এ বিষয়ে কাউখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও জেলা পরিষদ সদস্য শাহীন রেবেকা চৈতী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, তিনিও কলেজের সবার সঙ্গে ওই গরুর দুধ পান করে এখন আতঙ্কগ্রস্ত। ওই গাভিটি পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে মারা গেছে এই বিষয়টি কারও জানা ছিল না। গরুটি মারা যাওয়ার পর জানাজানি হলে দুধ পানকারী শিক্ষকরা এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আতঙ্কিত সবাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিষেধক ভ্যাকসিন ইনজেকশন নেয়া শুরু করেছেন। তবে এ ব্যাপারে রোকসানা বেগম বলেন, আমা গাভিকে পাগলা ককুরে কামড় দেয়ার খবর সঠিক নয়। গাভিটি অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ মারা গেছে।কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকলপনা কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাগলা কুকুরে কামড় দিলে গরুর দুধ পানে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থাকে। সেক্ষেত্রে কেউ না জেনে ওই গরুর দুধ পান করলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিতে হবে। আতঙ্কগ্রস্ত ২৩ শিক্ষক ও কর্মচারীর সবাই প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরপর সমস্যা হওয়ার কথা না।হাসান মামুন/এএম/পিআর