দেশজুড়ে

ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে মাতম

ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জনের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেলেও বাকিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুড়ে চেহারা বিকৃত হওয়ায় স্বজনরা মরদেহ চিনতে পারছেন না। নিহতের বাড়ি চলছে শোকের মাতম। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নিহত ও নিখোঁজদের সুনির্দিষ্ট তালিকা পাওয়া যায়নি।এদিকে দুর্ঘটনায় আহত নড়াইল সদর হাসপাতালে ১৫ জন এবং লোহাগড়া স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টায় নড়াইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে হানিফ পরিবহনের একটি বাস ছেড়ে যায়। ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় পৌঁছানোর পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১৩ জন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়।হানিফ পরিবহনের রূপগঞ্জ কাউন্টারের ম্যানেজার আকবর হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে রূপগঞ্জ কাউন্টার থেকে ১১জন যাত্রী ওঠে।লোহাগড়া কাউন্টারের ম্যানেজার হাবিব জানান, লোহাগড়া কাউন্টার থেকে ১৯ জন যাত্রী ওঠে। কিন্তু নড়াইল শহরের কাউন্টার বন্ধ থাকায় কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর থেকে এ কাউন্টারের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।জানা গেছে, নড়াইল সদরের বাশগ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে বাসের ড্রাইভার হেমায়েত মোল্যা, বাসের হেলপার পার্শ্ববর্তী বগুড়া গ্রামের ইয়াকুব মোল্যার ছেলে জুয়েল মোল্যা, সদরের কাগজিপাড়ার কবির উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার আলমগীর হোসেন এবং ঢাকার ইবনে সিনার চিকিৎসক গোপালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুল মারা গেছেন।যারা নিখোজ রয়েছেন তারা হলেন, লোহাগড়ার মিঠাপুর গ্রামের গোলাম মওলার ছেলে বায়েজিদ, লোহাগড়ার লাহুড়িয়া গ্রামের সৈয়দ ইশরাত আলীর ছেলে দাউদ হোসেন ও নড়াইল পৌরসভার ভাটিয়া এলাকার মোনতাজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন।এদিকে, সারাদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীদের সম্পর্কে তথ্য নিতে আসলেও সমস্ত কাউন্টার বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন স্বজনরা। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও স্বজনরা তথ্য নিতে পারছেন না।নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, নিখোঁজদের ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা পাওয়া যায়নি।হাফিজুল নিলু/এএম/পিআর