নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় শনিবার বিকেল হতে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নতুন করে কোন নিখোঁজের দাবীদার না থাকায় এ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।এর আগে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু ঘটে। মর্মান্তিক এ ট্রলার ডুবির ঘটনায় সবশেষ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মমতাজউদ্দিন লাশ ৫টি উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে জানান, নতুন করে কোন নিখোঁজের পরিবারের দাবীদার না থাকায় শনিবার বিকেল থেকে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে কোন অভিযোগ আসলে উদ্ধার অভিযান আবারো শুরু করবে।শনিবার উদ্ধার করা ৫ জনের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রাজধানীর লালবাগ শহীদনগর এলাকার বাসিন্দা মৃত. ওয়াহেদ আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ (৩৫), একই এলাকার আজিজুলের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র হাবিব (১২), মানিক মিয়ার ছেলে কাজল (২৮), খলিল মিয়ার ছেলে ঝন্টু (২২) ও মৃত আলী হোসেনের ছেলে জালাল (৫৫)।এর আগে ট্রলার ডুবির ঘটনায় শুক্রবার সকাল ১০টায় জমিলা খাতুন (৬৫), বিকেলে রাসেলের (২২) ও রাত ৭টায় আলমগীর হোসেনের (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জমিলা খাতুন ঢাকার লালবাগ শহীদনগর এলাকার মৃত আবদুর রশিদের স্ত্রী, রাসেল শহীনগর এলাকার রাজকুমারের ছেলে ও আলমগীর লালবাগ শহীদ নগর এলাকার কোরবান আলীর ছেলে।প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে সাতজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু ঘটে। নিহত সকলের বাড়ি ঢাকার মিরপুর ও লালবাগ এলাকাতে।মতলবে সোলায়মান শাহ ওরফে লেংটার মেলা শেষে ট্রলারে করে এসব লোকজন ঢাকার সদরঘাটে ফিরছিল। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতরা হলেন, ঢাকার লালবাগের ১৭৪ সৈয়দনগরের মৃত লাটমিয়ার ছেলে মো. ছমির হোসেন (৪৫) এবং একই এলাকার আব্দুল হক ওরফে ওহাব মাতবরের ছেলে রুবেল (১৮), হাফিজউদ্দিন মিয়ার ছেলে রুবেল (৩০), মো. নিজামের ছেলে ছেলে সাগর (১০), নুরউদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন (৩০), লালবাগ এলাকার কাজল মিয়া (২৮), আইউব আলীর স্ত্রী করমজান বিবি (৬৫) ও রাজীব হোসেন হৃদয় (২২)।এমজেড/আরআই